ভারতের উত্তর সিকিমে অতি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভারী ঢলে তিস্তার বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, বুধবার (৪ অক্টোবর) রাতে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানায়, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের (CWC) তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তা ছাড়া রংপুর অঞ্চলসহ লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে তিস্তার বাম ও ডান তীরের নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে যমুনায় বাড়ছে পানি, বন্যার আশঙ্কা
এতে মৌসুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রটি ।
লালমনিরহাট জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে সতর্কবার্তা দেওয়াসহ বন্যা মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন ও আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জি আর সারোয়ার জানান, নদী এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে মানুষকে সচেতন করতে বলা হয়েছে। তিস্তাপাড়ের সার্বিক খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের গবাদিপশুসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ভারী ঢলে তিস্তায় আবারও বন্যা দেখা দিতে পারে। আমরা সার্বিক খোঁজ-খবর রাখছি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে কবি রাধাপদের ওপর হামলা