আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার নিয়ে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন বিজয় দিবস উদযাপন করেছে।
মিশন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসব্যাপী যুদ্ধে জাতির ঐতিহাসিক বিজয়ের এক গৌরবময় উদযাপনে স্বাধীনতা যুদ্ধের লাখো শহীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করে।
হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে ১৬ ডিসেম্বর সকালে জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
হাইকমিশনার রহমান ও অন্যরা মিশনের মুজিব কর্নারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: জাতি বিজয় দিবস উদযাপন করছে
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বিজয় দিবসের বাণী পাঠ করা হয়। এ.কে.এম. আতিকুল হক (বাণিজ্যমন্ত্রী); উইং কমান্ডার এস এম রাগিব সামাদ (সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা - বিমান); মো. আব্দুল ওয়াদুদ আকন্দ (কাউন্সেলর - রাজনৈতিক), জাকারিয়া বিন আমজাদ (দ্বিতীয় সচিব) ও সেলিম মো. জাহাঙ্গীর (মন্ত্রী - কনস্যুলার) আলোচনায় অংশ নেন।
বঙ্গবন্ধু ও যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিশেষ মোনাজাতের পর ৫২ বছরের বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের যাত্রার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
হাইকমিশনার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেটি হবে শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির দেশ। গত পাঁচ দশক ধরে আমরা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ক্রমাগত পদক্ষেপ নিয়েছি।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি, শিক্ষার উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পথে।
প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী তত্ত্বাবধায়নে হাইকমিশনার বলেন, তারা এখন বাংলাদেশকে একটি উন্নত, প্রযুক্তিনির্ভর ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তর করে বর্তমান সরকারের ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।