কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার চম্পকনগর বাদারিয়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম, একই থানার উথারিয়া গ্রামের রেজু মিয়ার ছেলে উজ্জল মিয়া, চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার মৌলভীপাড়া গ্রামের মৃত রফিক মিয়ার ছেলে জনি ও হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার মশাখালী গ্রামের আকাশী দাসের ছেলে প্রদীপ দাস।
১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আলী আক্কাছ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বাসুদেব গ্রামের মৃত লাহু মিয়ার ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত থাকলেও ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছেন।
জানা গেছে, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনের গাঁও গ্রামের হাফেজ মাওলানা মফিজুল ইসলামের ছেলে আবদুর রহমান বগুড়া সেনানিবাসে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রামের রাউজান সরকারি কলেজ কেন্দ্রে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মেইল ট্রেনে রওনা হন। ট্রেনে একদল ডাকাত যাত্রীদের মালামাল লুটকালে আবদুর রহমান তাদের বাধা দিলে ডাকাতরা তাকে কুপিয়ে হত্যার পর নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণে গোত্রশাল দিঘীর পশ্চিম পাশে লাশ ফেলে দেয়। খবর পেয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরদিন রাতে নিহত আবদুর রহমানের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাকসাম রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ইউপি সদস্য হত্যা, নারীসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
তদন্তকালে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এ মামলায় ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার এ রায় দেয় আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন এসআই মো. আতাউর রহমান।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট নাঈমা সুলতানা মুন্নী।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড