বগুড়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণ ও মা-মেয়েকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার ঘটনায় আলোচিত শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত নেতা তুফান সরকারকে দুদকের মামলায় জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের যথাযথ ঘোষণা করে মঙ্গলবার রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ।
এর আগে, ১৮ অক্টোবর তাকে কেন এ মামলায় জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।
আদালতে তুফান সরকারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রফিকুল ইসলাম সোহেল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের হিসাব বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের সহকারি পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানার মামলা করেন। মামলায়, ২৯ লাখ ৭৯ লাখ ৮৭০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব গোপন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে এক কোটি ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮৫ টাকা অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ: বগুড়ার সেই তুফান সরকারকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
জানা যায়, ভালো কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়ার কথা বলে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই এক ছাত্রীকে এক বাসায় নিয়ে যান সে সময়ের বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক (বর্তমানে বহিষ্কার) তুফান সরকার। পরে সেখানে ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে তুফান সরকারের স্ত্রীর বড় বোন কাউন্সিলর মারজিয়া গত বছরের ২৮ জুলাই ওই মেয়ে এবং তাঁর মাকে বাড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ মা-মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে মারজিয়া হাসান এবং পরে তুফান সরকারসহ সহযোগীদের আটক করে। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওই রাতেই মামলা করেন। এ মামলায় গত জানুয়ারিতে হাইকোর্ট তুফান সরকারকে জামিন দেন। তবে ২০১৯ সালে দুদকের এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও অর্ধডজন মামলা রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকেই কারাগারে রয়েছেন তুফান সরকার।