পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে আটটি সেক্টরের আওতায় ১১টি অঞ্চলে ভাগ করে ১৪ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার লক্ষ্যে ১১৩টি অভিযোজনমূলক অ্যাকশন চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮০টি উচ্চ অগ্রাধিকার এবং ২৩টি মাঝারি অগ্রাধিকারমূলক অ্যাকশন হিসেবে বিবেচিত।
তিনি বলেন, অভিযোজন পরিকল্পনায় চিহ্নিত ঐ কার্যক্রমসমূহ ২০৫০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে যাতে আমাদের প্রায় ২৩০ বিলিয়ন ইউএস ডলার সমপরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনে সহজ শর্তে ঋণ দিবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ অধিদপ্তরের মিলনায়তনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অন ডিসেমিনেশন এন্ড ব্রেইনস্ট্রমিং অব ন্যাপ ইমপ্লিমেন্টেশন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ৩১ অক্টোবর ২০২২ তারিখে ইউএনএফসিসিতে দাখিল করা এ পরিকল্পনা শুধুমাত্র একটি জাতীয় প্রতিবেদনই না, বরং এটা জলবায়ু অভিযোজনের ক্ষেত্রে বিশ্ব দরবারে আমাদের অবস্থান তুলে ধরবে। সকলের মূল্যবান মতামতসমূহ গ্রহণ করে এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা হবে।
এই জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদে সমন্বিতভাবে অভিযোজন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কার্যকর হবে। জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় বাংলাদেশের জন্য সুনির্দিষ্ট অভিযোজন চাহিদাসমূহ এবং তা বাস্তবায়নে যথাযথ কৌশলসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষের মাঝে অভিযোজনমূলক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর আরও জোর দেয়া হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে অভিযোজনমূলক কার্যক্রমসমূহ গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করা হবে।
এছাড়া বাংলাদেশে জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থাসমূহ এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্মিলিত প্রয়াস চালিয়ে যাবে।
কর্মাশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.ফারহিনা আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন মমন্ত্রণালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, প্রফেসর এমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুন নাহার হেনা এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।
ন্যাপ উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী।
এছাড়াও, উপস্থিত কর্মকর্তারা ন্যাপ বাস্তবায়নে পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি সম্মান দিয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী