আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য দেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক স্তরের কোয়ালিটি অ্যাওয়ার্ড চালু করল বাংলাদেশ সোসাইটি ফর টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (বিএসটিকিউএম)।
রবিবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পদ্মা কনফারেন্স হলে এই অ্যাওয়ার্ড লঞ্চিং অনুষ্ঠিত হয়। আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত কোয়ালিটিগুরু, ভোক্তা তুষ্টি মডেলের (কানো মডেল) প্রবক্তা অধ্যাপক ড. নরিয়াকি কানো। সভাপতিত্ব করেন বিএসটিকিউএমের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম আর কবির।
ড. কানোর সঙ্গে অংশীদারিত্বে চালু হওয়া এই পুরস্কারের নাম দেওয়া হয়েছে- কানো-বিএসটিকিউএম কোয়ালিটি অ্যাওয়ার্ড (কেবিকিউএ)।
পুরস্কারের প্রচার, পরিচালনা ও প্রতিষ্ঠার জন্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এহসানুল হককে চেয়ারম্যান করে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি করা হয়েছে।
কেবিকিউএ জাপানের ডেমিং অ্যাওয়ার্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যালকম বালড্রিজ অ্যাওয়ার্ডের মতো একই পদ্ধতি অনুসরণ করবে।
ড. নরিয়াকি কানো বলেন, ‘‘আমাদের অবশ্যই 'ফলাফল' এবং 'প্রভাব' বুঝতে হবে। ফলাফল যেকোনো ক্ষেত্রে ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয়। টিকিউএম প্রভাব অর্জনের মাধ্যমে ফলাফল উপলব্ধি করতে চায়। জাপানে ডেমিং প্রাইজ টিকিউএমের মাধ্যমে ফলাফলের মূল্যায়ন করে, শুধু ফলাফল বিবেচনা করে না। টিকিউএম চর্চা না করে কেউ যদি ভালো ফলাফলও পায়, তারপরও সে ডেমিং প্রাইজ পাবে না।’’
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'যেকোনো ব্যবসার জন্য টিকিউএম চর্চা ও প্রচার করা উচিত। পুরস্কারপ্রাপ্তি টিকিউএম চর্চা ও প্রচারের জন্য একটি অনুঘটক মাত্র।'
কেবিকিউএ-এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরে, কেবিকিউএ জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য প্রকৌশলী এএমএম খায়রুল বাশার বলেন ‘কানো-বিএসটিকিউএম কোয়ালিটি অ্যাওয়ার্ড দেশের শিল্প ও সেবা খাতে কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড এবং গ্রাহকের প্রত্যাশা পূরনের মাধ্যমে ব্যবসায়িক শ্রেষ্ঠত্ব প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
আরও পড়ুন: হামদ-নাত প্রতিযোগিতার শীর্ষ ১০ জনের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদান
দেশে প্রথমবারের মতো ৮ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে দেওয়া হবে ‘জাতীয় চা পুরস্কার’: বাণিজ্যমন্ত্রী