ফেনীর মহিপাল সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সময় তিনি সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলার রায় প্রসঙ্গে এ দাবি করেন।
কাদের বলেন, ‘এ মামলায় ১৬ জনের সবার ফাঁসি হয়েছে। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সভাপতিও ছিলেন। তাকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া হয়নি। তিনিও ফাঁসির রায় পেয়েছেন। এ থেকে প্রমাণ হয় অপরাধী যেই হোক তার নিস্তার নেই।’
চলমান শুদ্ধি অভিযান নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুনিয়ার ইতিহাসে কোনো দেশে দলীয় সরকার তাদের দলের বিরুদ্ধে এ ধরনের শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করেছে বলে তার জানা নেই।
‘বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনা নিজের দলের লোকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বিরল হয়ে থাকবে। তিনি প্রমাণ করেছেন অপরাধ করলে নিজের দলেরও কোনো ছাড় নেই,’ যোগ করেন কাদের।
তিনি জানান যে দুর্নীতি, মাদক, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিতে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেকে নজরদারিতে আছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার দলের নেতা ও স্বজনরা তার অসুস্থতার যে চিত্র তুলে ধরেন তার সাথে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণের মিল নেই। ‘খালেদার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তারা যতটা না উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে এ অসুস্থতাকে নিয়ে তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। এটা নিয়ে তাদের দুরভিসন্ধি রয়েছে।’
‘দুই বছর হয়ে গেল, কিন্তু খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য চোখে পড়ার মতো কোনো আন্দোলন করতে পারেনি বিএনপি। তারা আন্দোলন করে তাকে বের করতে পারলে করুক, আমার আপত্তি নেই। তারা শুধু হাঁকডাক দিতে পারেন, আন্দোলন করতে পারেন না,’ বলেন কাদের।
১৪ দলীয় জোটের শরিক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একজন রাশেদ খান মেননের জন্য ১৪ ভাঙতে পারে না। বিষয়টি এখন আলাপ-আলোচনার মধ্যে রয়েছে।’
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের চলে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে, ক্রমাগত বাড়ছে। চীন এবং ভারত থেকে চাপ আসছে। সব দিক থেকে মিয়ানমার সরকার চাপে রয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, ফেনী ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।