সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫৮টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৫ হাজার ৭৩৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৩৮টি।
নতুন আক্রান্তসহ এখন পর্যন্ত দেশে করোনার শিকার হয়েছেন ৯০ হাজার ৬১৯ জন। আর মোট মারা গেছেন এক হাজার ২০৯ জন।
করোনায় নতুন যে ৩৮ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন এবং নারী ছয়জন। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগী নিয়ে আজ বড় ধরনের হালনাগাদ তথ্য দেয়া হয়েছে। হাসপাতালের পাশাপাশি বাসায় সুস্থ হওয়া রোগীদের তথ্য যোগ করে জানানো হয় যে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ২৭ জন। এক দিন আগে রবিবার এ সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ৭৩০ জন। এখন শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৩৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৭৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭০০ জনে। এছাড়া, প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ লাখ ৩২ হাজার ৯২২ জন। পাশাপাশি কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৭ লাখেরও বেশি মানুষ।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে সোমবার পর্যন্ত ২০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৩২ জনের। এছাড়া ব্রাজিলে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯ লাখ মানুষ এবং মারা গেছেন ৪৩ হাজার ৩৩২ জন।
আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। এরপরই রয়েছে ভারত, যুক্তরাজ্য এবং স্পেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর ভয়ে অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে পরাজয় মেনে নেব না: প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর করোনাভাইরাসে মৃতের তালিয়ায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৭৮৩ জন।
এ দিকে, চীনা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সোমবার জানিয়েছে যে দেশটিতে রবিবার নতুন করে আবারও ৪৯ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৩৯ জন স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। তবে সেখানে নতুন কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।