বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের মজুদ শেষের দিকে বলে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) জানিয়েছে।
ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রায় ১ কোটি ২ লাখ ভ্যাকসিন ছিল।৮৮ লাখ ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। এখন আমাদের কাছে প্রায় ১৪ লাখ ভ্যাকসিন মজুদ আছে।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার টিকা 'স্পুটনিক ভি’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
তিনি বলেন, বিদ্যমান মজুদ শেষ হওয়ার আগে দেশে নতুন করে ভ্যাকসিনের চালান না এলে ভ্যাকসিনের সংকট দেখা দেবে।
রোবেদ বলেন, এখন পর্যন্ত ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭১৯ জন লোক ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছে এবং ৩০ লাখ ২৩ হাজার ১৬৯ জন লোক ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের আগেই চীন থেকে ভ্যাকসিন পেতে আশাবাদী ঢাকা
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, যারা প্রথম ডোজ নিয়েছে তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য ১৪ লাখেরও বেশি ডোজের অভাব রয়েছে দেশে।
ভ্যাকসিন সংকটের মধ্যে সরকার ২৬ এপ্রিল করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রদানের নিবন্ধন স্থগিত করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অবশ্য আশা প্রকাশ করেছেন যে ঈদুল ফিতরের আগে চীন থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে মডার্নার ভ্যাকসিন আনার অনুমতি চেয়ে আবেদন
পাশাপাশি তিনি বলেছেন, রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
রোবেদ জানান, বাংলাদেশি একটি ওষুধ কোম্পানি রেনাটা লিমিটেড মডার্নার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আমদানির জন্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে এবং এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশে তিনটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করতে চায় বলে সরকারের সাথে যোগাযোগ করেছে। তারা আশাবাদী যে দেশে এক বছরে ১.৫ কোটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম হবে।’
রোবেদ বলেন, সরকার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতার মূল্যায়ন করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ভাইরাস সংক্রমণ হার কমতে থাকায় গত এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে কোভিড পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আত্মতৃপ্তির কোনও অবকাশ নেই কারণ আক্রান্তের হার যে কোনও ধরণের অবহেলার জন্য আবার বাড়তে পারে।
রোবেদ বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি বজায় রাখতে হবে এবং ভাইরাস সংক্রমণে ক্রমহ্রাসমান প্রবণতা বজায় রাখতে জনসাধারণের চলাচলকে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
বাসা থেকে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানান তিনি বলেন, এটাই সম্ভাব্য কোভিড সংক্রমণের বিরুদ্ধে সেরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।