সেই সাথে তিনি বলেছেন, যত দ্রুত ট্রায়াল সম্পন্ন হবে তত দ্রুত দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন ট্রায়ালে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে ভারতসহ অন্য কোনো দেশ আগ্রহ দেখালে সরকার তার কার্যকারিতা যাচাই করে অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে আন্তরিক থাকবে। চীনা কোম্পানি সায়নোভ্যাক দেশে ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ নিতে আইসিডিডিআর,বি-এর মাধ্যমে যে আবেদন করেছিল সেটির কার্যকারিতা নিয়ে সরকারের নানাবিধ বিশ্লেষণ শেষে ওই কোম্পানিকে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভ্যাকসিন ট্রায়াল ও তার অগ্রগতি নিয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন প্রদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চীনের এ কোম্পানি গত কয়েক মাস থেকেই আইসিডিডিআর,বি-এর মাধ্যমে ট্রায়ালের বিষয়ে আমাদের অনুরোধ করে আসছিল। সরকার তাদের ভ্যাকসিনের ব্যাপারে সব ধরনের যাচাই-বাছাই করেছে। কোম্পানিটি ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় ট্রায়াল শুরু করেছে। তুরস্কসহ বেশ কিছু দেশে ট্রায়াল শুরুর পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে। বাংলাদেশকে তারা (চীনা কোম্পানি) পছন্দের শীর্ষে রেখেছে শুরু থেকেই। বাংলাদেশ এ ট্রায়ালে অংশ নিলে এক লাখ পিস টিকাসামগ্রী বিনামূল্যে পাওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্যাকসিন ক্রয় করতে অগ্রাধিকার পাবে বলে সরকার মনে করছে।’
‘এছাড়া চীন সরকারের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক দৃঢ়। সবকিছু বিবেচনা করেই চীনের ভ্যাকসিন কোম্পানিটিকে ট্রায়ালে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
অন্য কোনো দেশের ট্রায়াল বাংলাদেশে হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘বর্তমানে বিশ্বের আট কোম্পানি ভ্যাকসিন ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ট্রায়ালের আগ্রহ দেখালে বাংলাদেশ তা বিবেচনা করবে।’
ভ্যাকসিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আগ্রহ কতটুকু এমন প্রশ্নের উত্তরে জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশ মাথাপিছু আয়ের অনুপাতে কিছু ভ্যাকসিন ফ্রি পাবে। তবে সরকার কেবল ফ্রি ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করবে না। সরকার ভ্যাকসিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকবে না।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান, আইডিসিআর,বি-এর পরিচালকসহ অন্য কর্মকর্তারা।
সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি ঝিমিং।