বিক্ষিপ্ত সহিংসতা ও নানা অনিয়মের অভিযোগের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শেষ হয়েছে। সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে কমপক্ষে ছয়জন নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
নরসিংদী, কক্সবাজার, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
ইউএনবির নরসিংদী প্রতিনিধির পাঠানো খবরে জানা যায়, ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেই নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার বাশগাড়ী ইউনিয়নে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন- হেকিম মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিন (৩০), আব্দুল হক মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর (২৬) ও উপজেলার বাশগাড়ী গ্রামের হাজী সিরাজের ছেলে দুলালা (৪৫)।
নিহতরা বাশগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আশরাফুল ইসলামের সমর্থক।
সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ জানান,নির্বাচন শুরুর দুই ঘণ্টা আগে সকাল ৬টার দিকে বাশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে আশরাফুল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রাতুল হাসান জাকিরের সমর্থকরা একে অপরের ওপর হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন,দুই পক্ষ একে অপরের দিকে গুলি ছোঁড়ে এবং একে অপরের উপর টেটা (এক ধরনের মাছের বর্শা) নিয়ে আক্রমণ করে। এসময় তিনজন নিহত হয় এবং আরও ৩০ জন আহত হয়।
আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আমাদের কক্সবাজার প্রতিনিধি জানায়, সদর উপজেলার খুরুশকুলে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ ও ছয়জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: দামুড়হুদায় তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জন
নিহত আক্তারুজ্জামান পুটু (৩৫) খুরুশকুল ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শেখ কামালের ছোট ভাই।
র্যাব-১৫-এর ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশালাইজড কোম্পানির (সিসিপিএস) কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন,খুরুশকুল তেতোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটের সময় প্রার্থী বাবুলের সমর্থকরা ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছিল। এসময় আরেক প্রার্থী আক্তারুজ্জামানের সমর্থকরা তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।