তিনি বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান ছিল। মস্ত্রিসভার আজকের বৈঠকে উক্ত আইনের ৯(১) ধারায় সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী ধর্ষণের শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ধারা ৯(১) এর সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকায় ৯(৪) ধারাতেও সংশোধন আনা হয়েছে। ধর্ষণের সাজা যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ড করায় এই অপরাধ কমে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
রাজধানী গুলশানের নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) ধারা সংশোধন করে সাধারণ জখমের জন্য আপোসের বিধান রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী ১১(গ) ধারা সংশোধন করে আপোসের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া ২০১৩ সালের শিশু আইনের একটি সংশোধনী আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপরি উল্লিখিত সংশোধনীগুলো ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সংসদ অধিবেশন চলমান না থাকায় এটা অধ্যাদেশ আকারে জারি করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং আগামীকাল রাষ্ট্রপতির আদেশ বলে এটাকে অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।’
আইনমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে অনেক বিতর্ক আছে। তারপরও বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এই সাজা বাড়ানো উচিত বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে সংশোধনী আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি পুরাতন ধর্ষণ মামলাগুলো আগে এবং নতুন মামলাগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সরকার আইনে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় যতটুকু সময় লাগে সেই সময়ের মধ্যে ধর্ষণ মামলাগুলো সম্পন্ন করার ব্যবস্থা ও চেষ্টা সরকার করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করা হবে, তিনি যেন একটি প্রাকটিস ডাইরেকশন দেন যাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মামলাগুলো দ্রুত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিচারকরা যথাযথ পদক্ষেপ নেন। অপরদিকে আইন মন্ত্রণালয় থেকেও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপিদেরকে নির্দেশনা দেয়া হবে, যাতে তারা ধর্ষণ মামলাগুলো শেষ করার ব্যাপারে ইমিডিয়েট পদক্ষেপ নেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত