নওগাঁর মান্দায় প্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম সুটকা নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার নুরুল্লাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নে প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া প্রতিবন্ধী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ৯ জানুয়ারি রাতে গ্রামের আনোয়ারা বিবির বাড়িতে সালিশের আয়োজন করেন স্থানীয় মাতব্বরেরা। সালিশে ধর্ষণের কথা স্বীকার করায় অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলাম সুটকাকে জুতাপেটা ও আট হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেন তারা।
এর জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ৫ বছরের শিশু ধর্ষণ: একজনের যাবজ্জীবন
বুধবার দুপুরে নওগাঁ আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ দলের প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম শহীদ বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ঘটনা সালিশযোগ্য বিষয় নয়। যেসব ব্যক্তিরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সালিশ করেছেন, তারাও একই অপরাধের অপরাধী। এদেরও আইনের আওতায় এনে বিচার করা দরকার।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান ঘটনান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে একজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। নওগাঁ হাসপাতালে ভুক্তভোগী শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে সালিশের আয়োজক মাতবরদের কেন আসামি করা হয়নি জানতে চাইলে ওসি বলেন, শিশুটির বাবা শুধু একজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাই অন্য কাউকে আসামি করা হয়নি।