টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফিনল্যান্ড।
বাংলাদেশে ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউক্কু-রন্ডে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তার দেশের এ আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রাষ্ট্রদূত ফিনল্যান্ড-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শেখ হাসিনার কাছে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মিরেলা মারিন-এর শুভেচ্ছাপত্র হস্তান্তর করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও এ উপলক্ষে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
ফিনল্যান্ডের এই কূটনীতিক বলেন, বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানি নকিয়ার মধ্যে সহযোগিতা জোরদার হতে পারে।
রিতভা বলেন, তার দেশ জাতিসংঘের সংস্থাগুলোতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করবে।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয় জনগণ অনেক কষ্ট পাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সীমান্তে কোনো বিদ্রোহের অনুমতি দিই না।’
পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তায় প্রস্তুত ভারত
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, তার সরকার দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল এবং সে সময় ১৮০০ সশস্ত্র ক্যাডার তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে।
বাংলাদেশে প্রচুর হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলো সেখানে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমাদের (বিদেশ) নীতি হল-সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি বৈরিতা নয়।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সার আমদানি করলেও এখন শিপিং খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে উন্নত দেশগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশে আরও খাদ্য উৎপাদনের জন্য কোনো আবাদি জমি অনাবাদি থাকবে না।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনারারি কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ আজিজ খান উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: পশ্চিমা হস্তক্ষেপের কারণে সত্যিকারের কূটনীতির কোনো জায়গা নেই: রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত