নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবুল কাশেম (৬৫) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বরগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নিহত আবুল কাশেম ওই এলাকার মৃত কদম আলীর ছেলে এবং পেশায় একজন বাঁশ-বেতের হস্তশিল্পী।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সাংবাদিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, আসামি ধরতে গিয়ে র্যাব পরিচয় দেয়া একদল সাদা পোশাকধারী তাকে গুলি করেছেন।
নিহতের ছেলে দ্বীন ইসলাম জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার সময় একই গ্রামের আমির আলীর ছেলে সেলিমকে কে বা কারা ধরে মারধর করছিলেন। এ সময় নিহত আবুল কাশেম জানতে চান যে কেন সেলিমকে মারধর করা হচ্ছে। তারা আইনের লোক পরিচয় দিলে তাদের পোশাক নেই কেন জানতে চান নিহত আবুল কাশেম। এ কথা বলতেই প্রথমে তার বাঁ পায়ে আঘাত করা হয়। এ সময় আবুল কাশেম চিৎকার করলে তাকে পেটে গুলি করা হয়। গুলির আওয়াজ শুনে গ্রামবাসী বেরিয়ে এলে তারা গুলি করতে করতে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
এসময় হুমায়ূন কবির নামে আরেকজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হন বলেও জানান তিনি।
এই প্রসঙ্গে র্যাব-১১’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, ‘শুক্রবার সোনারগাঁওয়ে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার ঘটনার মূল সন্দেহভাজন আসামি সেলিমকে আটক করতে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। আসামিকে আটক করে নিয়ে আসার সময় র্যাবের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে র্যাব বাধা দেয়।’
তিনি বলেন, ‘এসময় স্থানীয়রা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে র্যাবের ওপর হামলা চালালে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে।
এছাড়া এ ঘটনায় চারজন র্যাব সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, ‘পরে র্যাব সদস্যরা আসামিকে আটক করে নিয়ে আসে। সকালে জানা যায় একজন মারা গেছেন। তবে তিনি কিভাবে মারা গেছেন নিশ্চিত না।’
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ বলেন, হাসপাতালে বৃদ্ধের লাশ রয়েছে। সেখানে পুলিশ রয়েছে। তিনি কীভাবে মারা গেছেন জানা যায়নি, আমরা খোঁজ নিচ্ছি।