জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ বলেছেন, আগামী নির্বাচনের আগে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নিশ্চিত করা এবং বিক্ষোভের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর ‘অতিরিক্ত শক্তি’ ব্যবহারে বিরত রাখা বাংলাদেশ সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সোমবার জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫১তম অধিবেশনে সাম্প্রতিক বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিবৃতি দিতে গিয়ে নাশিফ এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশি জাতিসংঘ কর্মকর্তা অপহৃত: সরকার-জাতিসংঘের কাছে মুক্তির আর্জি স্বজনদের
তিনি জানান, গত মাসে সাবেক হাইকমিশনার বাংলাদেশে ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে প্রথমবার সফরে আসার পর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ের সঙ্গে জড়িত সকল উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করেন এবং ওএইচসিএইচআর-এর ওপর নিষেধাজ্ঞামূলক আইনগুলো পর্যালোচনা করার জন্য সহায়তার প্রস্তাব দেন।
সেসময়ে তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিশেষ করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মাধ্যমে জোরপূর্বক গুম সহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি ‘স্বাধীন, বিশেষ ব্যবস্থা’ প্রতিষ্ঠার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন।
নাশিফ বলেন, ‘মানবাধিকার রক্ষাকারী, আইনজীবী, সাংবাদিক ও ভুক্তভোগীদের পরিবারকে তাদের অ্যাডভোকেসি কাজের জন্য প্রতিশোধ বা নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হবে না।’
আরও পড়ুন:শান্তির সংস্কৃতি প্রচারে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের