নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা কমছে, সহিংসতা বন্ধে সব দলকে ইচ্ছা ও আন্তরিকতা প্রদর্শন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমরা কাউকে নির্বাচনে বাধা দিতে দেব না। আমরা আশা করি, সহিংসতা বন্ধে সব দলের ইচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো সংলাপে পিছপা হয়নি। আওয়ামী লীগ মনে করে সংলাপ ভাল। আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী দল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত ১৫ বছরে দেশে কয়েক হাজার নির্বাচন করেছেন। মোটামুটিভাবে অধিকাংশ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, এক-দুইটিতে হয়তো অনিয়ম হয়েছে। তবে সেই নির্বাচনগুলো বানচালও হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচন চাই। আর এই নির্বাচনে যদি কোনো বন্ধু রাষ্ট্র সহায়কের ভূমিকা পালন করে, তাহলে তাদেরকে আমরা স্বাগত জানাব।
ড. মোমেন বলেন,আমাদের বিরোধী দল বিএনপি ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার ঘোষণা করেছিল। কিন্তু , সেখানে তাদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে জ্বালাও-পোড়াও করা। যারা কোনো দলের না বিচারকদের বাসভবনে জ্বালাও-পোড়াও করল। হাসপাতালেও জ্বালাও পোড়াও করল। সাধারণ জনগণের প্রায় ১৫৪টি বাস পোড়াল। বাসের মালিক তো সরকার না।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশিদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
তিনি বলেন, আমরা আশা করব, যে বিপদগামী দলগুলো আছে তারা পরিপক্কতা অর্জন করে নির্বাচনমুখী হবে। যাতে আমরা শান্তিপূর্ণ মডেল নির্বাচন করতে পারি।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং বাংলাদেশেরও একই প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য আসছে, কারণ কিছু বাংলাদেশি সাংবাদিক জোর করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: কার সঙ্গে সংলাপ হবে, জানতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমেন বলেন, 'এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে তারা নিজেদের দেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।
ড. মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে, পেছনের দরজা দিয়ে আসেনি।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস স্পাউজ অ্যাসোসিয়েশন (এফওএসএ) আয়োজিত 'ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি বাজার'-এ প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
এ সময় ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কেউ বাধা দিতে পারবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী