ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শনিবার মধ্যরাতে শেষ হওয়ায় জেলেরা আবার মাছ ধরার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলার জেলেরা মাছ ধরার জাল ও ট্রলার তৈরি করে রাত ১২টার পর নদীতে ইলিশ ধরা শুরু করছেন।
ইউএনবি চাঁদপুর সংবাদদাতা জানান, নিষেধাজ্ঞার সময়ে সারাদেশের পাঁচটি অভয়ারণ্যে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে চায় সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মধ্যরাত থেকে প্রায় ৫২ হাজার জেলে মাছ ধরা আবার শুরু করায় জেলে পাড়ায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
বিগত বছরের মতো এবারও চাঁদপুরের মতলব উত্তর সাতনল থেকে হাইমচর চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কাজ বন্ধ থাকায় ৪৪ হাজার ৩৫ জন জেলে সরকারি সহায়তা পেয়েছেন।
শনিবার সদর উপজেলার আনন্দ বাজার, হরিণা, বাহরিয়া, লক্ষ্মীপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় জেলেরা মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং ইতোমধ্যে তারা তাদের মাছ ধরার নৌকা মেরামত করেছেন।
ইমাম হোসেন ব্যাপারী (৬২) নামে এক জেলে জানান, নদীতে লুকানো চর থাকায় ইলিশের আনাগোনা কমে গেছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান, এ বছর ইলিশের উৎপাদন বাড়তে পারে।
এর আগে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে গত ১ মার্চ থেকে দুই মাসের জন্য ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী- ছয়টি জেলার ইলিশের অভয়ারণ্য এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় মৎস্যজীবীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান