তিনি বলেন, ‘নৌযান শ্রমিকদের চলমান ধর্মঘটের বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তর; নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করেছে, আলোচনা চলমান আছে, আজকের মধ্যে এর সমাধান হবে।’
বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রীর সচিবালয়স্থ তার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নৌযান ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরে অচল অবস্থা
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নৌশ্রমিকদের মূল দাবি খোরাকি ভাতা; অবশ্যই তাদের ন্যায্য দাবি। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। ভাতাটা ন্যায্য। এর আগেও শ্রমিকরা ধর্মঘটে গিয়েছিল। আলোচনা করে সমাধান করেছি। শ্রমিকরা অসহায়। তারা শ্রম দিয়ে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করে।’
‘মালিক-শ্রমিকদের সম্পর্ক থাকবে বন্ধুত্বপূর্ণ ও হৃদ্যতাপূর্ণ। মালিক-শ্রমিকদের সাথে সমন্বয় করে এর সমাধান করব,’ বলেন তিনি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত বর্তমান সরকার সবকিছু সমন্বয় করে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সরকারের সময়ে অনেক জটিল সমস্যা সমাধান হচ্ছে। সরকারের সে সক্ষমতা আছে। সমন্বয় করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।’
আরও পড়ুন: ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন
প্রসঙ্গত, বেতন-ভাতার সুযোগ-সুবিধাসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের আওতাধীন ৮টি সংগঠনের ডাকা এই ধর্মঘট সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে।
এদিকে, ভারতীয় হাইকমিশনারের সাথে সাক্ষাৎকালে প্রতিমন্ত্রী পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বি-পাক্ষিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় পায়রা বন্দর, মোংলা বন্দর ও আশুগঞ্জ বন্দর সম্পর্কিত বিষয়গুলো স্থান পায়। এছাড়া সোনামুড়ানৌরুট এবং ইছামতী নদী খননের বিষয়েও আলোচনা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা অব্যাহত রাখতে চাই। আরো শক্তিশালী করতে চাই ও কাছাকাছি আসতে চাই।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।