তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুসহ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলি টানেলের কাজ এগিয়ে চলছে। এই চার মেগা প্রকল্প আগামী বছরের জুনের মধ্যে উদ্বোধন করা হবে।’
সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, ‘সরকারের যে দায়িত্বটি আমি পালন করছি সেখানে তিনটি মেগা প্রজেক্ট আছে, সেগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেলের কাজ এগিয়ে চলছে। সবগুলো আগামী বছর জুনের মধ্যে উদ্বোধন করতে পারব, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর সমালোচনাকারী ইউনুস ও খালেদা এখন কোথায়, প্রশ্ন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের লক্ষ্য নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়ন। ইশতেহারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সেগুলো বাস্তবায়ন মূল চ্যালেঞ্জ।’
‘করোনা সারা বিশ্বকে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একদিকে করোনাকে মোকাবিলা করছি এবং অর্থনীতিকে সচল রেখেছি। ফরেন কারেন্সি ৪৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, প্রবৃদ্ধি আশানুরূপ জায়গায় আছে। সবদিক থেকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে চলেছি,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু নিয়ে বিরূপ মন্তব্যকারীরা আশাহত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
এসময় নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, করোনার জন্য অনেকে কাজ হারিয়েছে, বেকার হয়েছে, তাদের পুনর্বাসন করা এবং কাজ দেয়া একটা চ্যালেঞ্জ। আমাদের ইশতেহারে বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়ার কথা আছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কাদের বলেন, পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত আছে, সেটা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু ঘিরে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের
বাংলাদেশে করোনার ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন জানুয়ারির শেষ নাগাদ আসতে পারে।
এসময় উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় থাকতে সরকারের ধারাবাহিকতা থাকা দরকার রয়েছে বলে উল্লেখ করেন সেতুমন্ত্রী।