আরও পড়ুন:পদ্মাসেতুর রেল প্রকল্প: আড়াই ঘণ্টায় যাতায়াত ঢাকা থেকে যশোর
এদিন শেষ স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। যে সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি বয়ে আনবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। যা দেশের অর্থনীতিতেও রাখবে বড় ভূমিকা।
মাওয়া প্রান্তে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতুর শেষ স্প্যানটি বৃহস্পতিবার বসানো হয়েছে।
সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূলসেতু) দেওয়ান মো. আব্দুর কাদের জানান, দুপুর ১২টা ২ মিনিটের দিকে মাওয়া প্রান্তে ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর সর্বশেষ ৪১তম স্প্যানটি বসানো হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সকাল ৯টার দিকে শ্রমিকরা স্প্যানটি ব্রিজ পয়েন্টে আনতে কাজ শুরু করেন। এ যেন এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই সেতু নিয়ে বাঙালির আবেগের পেছনে রয়েছে অনেক কারণ। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এই সেতুতে অর্থায়ন করা থেকে পিছু হটে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক পিছিয়ে গেলেও থেমে থাকেনি বাংলাদেশ সরকার। নিজস্ব অর্থায়নেই সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
দেশের নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আগামী ২০২২ সালে জনসাধারণের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে দেশের দক্ষিণের ২১টি জেলার সাথে রাজধানীকে সংযুক্ত করবে এবং জিডিপিতে এক শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সামগ্রিক অগ্রগতি ৮১ শতাংশ এবং মূল সেতুর প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে বাকি রইল এক স্প্যান
নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।