ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণির সাথে প্রেমের সম্পর্কের জেরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসি গোলাম সাকলায়েন শিথিলকে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট-পিওএম (পশ্চিম) বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৩ জুন ঢাকা বোট ক্লাবে গিয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেন চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমণি। এরপর পরীমণির মামলায় আসামি হিসেবে ক্লাব নেতা ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এই ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ পরীমণিকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন থেকেই গোলাম সাকলায়েনের সাথে পরিচয় হয় পরীমণির। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে যোগাযোগ শুরু হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলা তদন্তের সূত্রে পরিচয় থেকে ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তার সঙ্গে প্রেমে জড়ান পরীমণি। তবে বুধবার রাতে বনানীর ফ্ল্যাট থেকে পরীমণিকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ফাঁস হয়।
সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত ১ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে পরীমণি নিজের গাড়ি নিয়ে গোলাম সাকলায়েনের বাসায় যান। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর রাত ২টার দিকে পরীমণি ওই বাসা থেকে বের হয়ে যান।
প্রতিবেদনের পর গুলশান বিভাগের এডিসি গোলাম সাকলায়েনকে ডিবির সব ধরনের কার্যক্রম থেকে অপসারণ করা হয়ে এবং তাকে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট-পিওএম (পশ্চিম) বিভাগে বদলি করা হয়।
আরও পড়ুন: পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা: প্রধান আসামি নাসিরসহ গ্রেপ্তার ৫
যোগাযোগ করা হলে ডিএমপির এডিসি (মিডিয়া) ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, শনিবার সাকলাইনকে পিওএম (পশ্চিম বিভাগ)-এ স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানিয়েছে, তারা ডিবি কর্মকর্তার কথিত 'অনৈতিক সম্পর্কের' তদন্ত করবে।
শনিবার মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক বলেন, বনানী ও অন্যান্য থানায় দায়ের করা পরীমণি ও তার সহযোগীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো এখন সিআইডি তদন্ত করছে।
তিনি বলেন, অভিনেত্রী পরীমণি এবং তার সহযোগীদের মামলাগুলো ৬ আগস্ট সিআইডিতে স্থানান্তরিত করা হয় এবং অভিযুক্তদের মধ্যে পরীমণি, মডেল মৌ, পিয়াসা এবং নজরুল ইসলাম রাজ বর্তমানে সিআইডির হেফাজতে রয়েছেন।