পাবানায় চলন্ত ট্রাক থেকে মহিষের মালিক জাহাঙ্গীরকে হত্যার দায় স্বীকার করে এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানিয়েছে।
আসামি মো. ইবাদ শেখ (৩২) জেলার আমিনপুর থানার মোবারকপুর গ্রামের মৃত-ইসমাইল শেখের ছেলে, পেশায় ট্রাক চালক।
রবিবার সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কার্টুনিস্ট কিশোরের মামলা গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিলো আদালত
এতে বলা হয়, পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদউজ্জামানের নেতৃত্বে গঠিত একটি চৌকিস টিম আগে গ্রেপ্তার অন্য আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার দুই বছর পর ঘটনার সাথে জড়িত অন্যতম পলাতক আসামি ট্রাক চালক ইবাদ শেখকে গ্রেপ্তার করে। গত ২৮ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পাবনা জেলার আমিনপুর থানাধীন কাশিনাথপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর আসামি ইবাদ শেখকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানায়, ২০১৯ সালে ৬ অক্টোবর ঘটনার দিন আসামি ইবাদ শেখসহ নাটোর ও পাবনা জেলার আট জন দুস্কৃতিকারী ডাকাত পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একত্রিত হয়ে রাজশাহী সিটিহাট থেকে ট্রাকে করে মহিষ নাটোরে পৌঁছে দেয়ার জন্য ভাড়া ঠিক করে। এরপর তারা উক্ত স্থানে যাওয়ার পথে ট্রাকে থাকা মহিষ মালিক জান মোহাম্মদ ও তার ছেলে সেলিমকে মারধর করে হাত পা বেধে নাটোর জেলার আগড়ান বাজারের কাছে চলন্ত ট্রাক থেকে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে জান মোহাম্মদের অপর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেনকে পাবনা জেলার দাশুরিয়া মোড় পার হয়ে মেসার্স এইচকে রাইস মিলের সামনে দাশুরিয়া পাবনা মহাসড়কের উত্তর পাশে মারধরে করে হত্যার পর হাত-পা-মুখ বেঁধে চলন্ত ট্রাক হতে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে দুটি মহিষ ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার যুবলীগ কর্মী জিলানী হত্যা মামলার তদন্তে পিবিআই
পিবিআই জানায়, পরে জান মোহাম্মদ ও তার ছেলে সেলিমকে বনপাড়া সিরাজগঞ্জ হাইওয়ে সড়কস্থ আগড়ান বাজারের রাস্তার পাশে হাত পা বাধা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে হাইওয়ে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে জানতে পারেন যে, ট্রাকে থাকা ডাকাতরা তাদেরকে হাত পা বেঁধে মারধর করে ট্রাক থেকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে মহিষসহ জাহাঙ্গীরকে নিয়ে চলে যায়। পরে এই ঘটনায় থানায় একটি ডাকাতিসহ হত্যা মামলা হয়।