কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ সীমান্তে শান্তিডাঙা-দুলালপুরে নিভৃত জনপদে ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীন বাংলায় এটিই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। হাঁটি হাঁটি পা পা করে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়টি ৪২ বছর পূর্ণ করবে।
কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের পাশে দৃষ্টিনন্দন ও সুবৃহৎ প্রধান ফটক হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’। সেখানে দাঁড়িয়ে ডানে তাকালেই মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘মুক্ত বাংলা’। আর বাঁয়ে সততার স্মারক ‘সততা ফোয়ারা’। পাশেই রয়েছে ভাষা শহীদদের স্মৃতিতে তৈরি ক্যাম্পাস ভিত্তিক বৃহৎ শহীদ মিনার এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মরণে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যের ‘স্মৃতিসৌধ’।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসের বাসে বাড়ি ফিরছে ইবি শিক্ষার্থীরা
আছে বিস্তৃত সবুজে ঘেরা ‘ডায়না চত্বর’ যা ক্যাম্পাসের প্রাণ। শিক্ষার্থীদের আড্ডায় সব সময় মুখরিত থাকে। ডায়না চত্বরের বা দিকে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল আর ডানে শিক্ষক- কর্মকর্তাদের ডরমিটরি। এই দুয়ের মাঝে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনগুলো। পশ্চিমে ছাত্রীদের হল ঘেষে উত্তর দিকে বয়ে গেছে মনোরম লেক। সকাল থেকে দুপুর শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখর একাডেমিক এলাকা আর বিকালে কোলাহল বাড়ে লেক আর হল এলাকা।