প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, প্রযুক্তির এই যুগে দেশের প্রকৃত ইতিহাস, স্বাধীনতা, জাতির পিতার আত্মত্যাগ এবং লাখো শহীদের রক্তদান সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া যাবে না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির যুগে তাদের (নতুন প্রজন্মকে) অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া সম্ভব হবে না।’
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কেউ নষ্ট করতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই পৃথিবী নতুন প্রজন্মের জন্য অনেক উন্মুক্ত, তাই তারা আর বিভ্রান্ত হবে না।’
তিনি উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর ধরে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করেছে।
‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এখন এটা আর করা যাবে না,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দশকের পর দশক বাঙালি জাতিকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
তিনি স্মরণ করেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ৭ মার্চের ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ ছিল।
তিনি বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে বাঙালিদের স্বাধীনতা অর্জনে অনুপ্রাণিত করে এমন ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এই ভাষণ বাজানোর জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীকে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি দীর্ঘ ২১ বছরের শাসনে স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করেছে।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, লাখো শহীদের রক্তদান ও মানুষের সংগ্রামকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা হয়েছে। এখন এটা প্রমাণিত যে কেউ সত্যকে মুছে ফেলতে পারে না।’
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাজানো হয়।
পড়ুন: সোমবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ