নিবন্ধিত চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ করে ওষুধ ও প্রসাধনী আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘খসড়া আইন অনুযায়ী, কোনো নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করা যাবে না এবং এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।’
তিনি বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করলে ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
আরও পড়ুন: ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়গুলো প্রস্তাবিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, কারণ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) প্রতিরোধ এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
মাদক আইন, ১৯৪০ এবং ওষুধ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৮২- হলো দুটি মাদক আইন।
কিন্তু দুটি আইন শুধুমাত্র ওষুধের বিষয়কে কেন্দ্র করে, প্রসাধনী নয়।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনে প্রসাধনীর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
প্রস্তাবিত আইনে প্রায় ৩০ ধরনের অপরাধের উল্লেখ করা হয়েছে এবং নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরির পাশাপাশি ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরির মতো বিভিন্ন অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, খসড়া আইনে ওষুধ, ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা ডিভাইসের উন্নয়নসহ কিছু নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে ওষুধের সমস্যার ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে।
মাহবুব বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী কিছু ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার।
বৈঠকে পাইরেসি রোধে শাস্তিমূলক বিধান রেখে কপিরাইট আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোগীর প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
খসড়া আইন অনুমোদন: ওষুধ সংক্রান্ত অনিয়মে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড