বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আগেই কারাগারে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা (ডিভিশন) দেয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।
বুধবার বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহামদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালত বলেছেন, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ৯ ডিসেম্বর কারাবিধি অনুযায়ী তাদের ডিভিশন দিতে বলেছিলেন। কিন্তু ১৩ তারিখে ডিভিশন দেয়া হয়েছে। এ কারণে কয়েক দিন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে সাফার করতে (দূর্ভোগ পোহাতে) হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর
পরে আদালত কারাগারে ডিভিশন চেয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালত।
৯ ডিসেম্বর এ আদেশ দেয়া হয়।
একই সঙ্গে ওইদিন মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে কারাগারে ডিভিশন দিতে বলা হয়। কিন্তু ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের আদেশ অনুযায়ী দুই নেতাকে কারাগারে ডিভিশন দেয়া হয়নি উল্লেখ করে মঙ্গলবার সকালে মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস হাইকোর্টে রিট করেন।
সকালে রিট আবেদনটি উপরোক্ত বেঞ্চে উত্থাপন করলে বিকালে শুনানির সময় ধার্য করেন।
পরে বিকালে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানান, মঙ্গলবারই তাদেরকে কারাগারে ডিভিশন দেয়া হয়েছে। এসময় বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা বিষয়টি নিশ্চিত হতে চান।
পরে আদালত বুধবার পরবর্তী শুনানির জন্য রাখেন।
সে অনুযায়ী বুধবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল লিখিতভাবে আদালতকে জানান, তাদেরকে কারাবিধি অনুযায়ী কারাগারে ডিভিশন দেয়া হয়েছে।
তখন আদালত বলেন, আদেশ কবে বাস্তবায়ন হয়েছে।
জবাবে ডিএজি বলেন, ১৩ ডিসেম্বর।
আদালত এসময় বলেন, আদেশ বাস্তবায়নে তিন দিন লাগলো কেন? আরও আগেই তো আদেশ বাস্তবায়নের দরকার ছিল। তিন দিন একটা লোক সাফার করলো। এ ধরনের আদেশ সঙ্গে সঙ্গেই বাস্তবায়ন করবেন।
এসময় ডিএজি বলেন, ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকবো।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাসকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে: রাষ্ট্রপক্ষ