ফেনীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
ফেনী জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক ইমরান সালেহ আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন বলে আদালতের পরিদর্শক মো. গোলাম জিলানী জানান।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ২ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন-ফেনী জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলাল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এস এম কায়সার এলিন, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন মাস্টার, ফেনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন বাবলু, ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকের হোসেন রিয়াদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম শিমুল, দাগনভূঞা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ভিপি ইমাম, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদুল ইসলাম রাহাত, দিদারুল আলম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ফজলে রাব্বী, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইব্রাহিম পাটোয়ারী ইবু, যুবদল নেতা ফজলুল হক মুন্না ও মামুন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মনোনয়ন না পেয়ে মেয়রসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর পদত্যাগ
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ আগস্ট জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ফেনী জেলা বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়। এ উপলক্ষে শহরের ইসলামপুর রোডে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের দুই থেকে আড়াইশো নেতাকর্মী জড়ো হন।
এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও সেখানে সমাবেশের জন্য জড়ো হন।
বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের ওপর হামলা চালিয়ে তিনজন আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার ওপর হামলা: ৯ বিএনপি নেতাকর্মীর মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনের যাবজ্জীবন
এতে তিন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন। একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এসময় পুলিশ রাবার বুলেটসহ মোট ২৭ রাউন্ড ফাঁকাগুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পরে পুলিশ বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করে।