ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবুল খায়েরকে ৩০ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)। বুধবার (৩ মে) দিনগত রাতে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে ফেনী র্যাব-৭ এর কোম্পানী কমান্ডার মো. সাদেকুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামি খায়ের ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ বলভপুর গ্রামের অলি আহাম্মদের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এসএসসি পরীক্ষায় প্রক্সি পরিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
জানা যায়, আসামি খায়ের ১৯৯৩ সালে নিজ ভাইকে কুপিয়ে হত্যার পর থেকে দীর্ঘ ৩০ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে নাম পাল্টিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
র্যাব জানায়, ১৯৯৩ সালের ২৭ জুন বল্লভপুরের নিজ বাড়িতে জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বড় ভাই আবু তাহেরকে কুপিয়ে হত্যা করে আবুল খায়ের ও আবদুল কাদের। এ ঘটনায় নিহতের বোন আমেনা বেগম বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেন।
পরে ওই মামলায় আদালত দুই সহোদর আবুল খায়ের ও আবদুল কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এরপর থেকে তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজেদের নাম পাল্টিয়ে বসবাস শুরু করেন। গ্রেপ্তার এড়াতে আবুল খায়ের নিজের নাম মিজান দাবি করে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার সংবাদ সম্মেলনে জানান, দীর্ঘদিন পর্যন্ত র্যাব আবুল খায়েরকে নজরদারিতে ও আবদুল কাদেরকে গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। বুধবার রাতে চট্টগ্রামের পটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি নিজের নাম আবুল খায়ের বলে স্বীকার করেন। একইসঙ্গে তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে গ্রেপ্তার এড়াতে নাম পাল্টিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ফেনীস্থ র্যাব-৭ এর কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ সাদিকুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল হাসান সরকার উপস্থিত ছিলেন।