ফেনীর সোনাগাজীতে ধর্ষণ মামলার ১৯ বছর পর তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওসমান হায়দার এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন-সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ফকির আহমদের ছেলে আবুল কাশেম, আবদুর রশিদের ছেলে মো. লাতু ও আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় একই এলাকার রসুল আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুককে বিচারক এ মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) ফরিদ আহমদ হাজারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত সব আসামি পলাতক ছিলেন। শুধু খালাস পাওয়া ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
মামলান বিবরণে জানা যায়, নবাবপুর ইউনিয়ন থেকে ২০০৩ সালের ১৩ মে রাতে মা-মেয়েকে তুলে নিয়ে যান আবুল কাশেম, লাতু, জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ ফারুক। পরে মাকে বেঁধে রেখে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করেন দণ্ডিতরা।
এ ঘটনার পরের দিন মেয়ের মা বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এই রায় দেয়।
আইনজীবী ফরিদ আহমদ বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তাদের গ্রেপ্তার হওয়ার দিন থেকে এ রায় কার্যকর হবে বলে আদেশে জানানো হয়েছে।
পড়ুন: খুলনায় স্ত্রী ও কন্যা হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: রাজধানী থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার