ফেনীর ফাজিলপুর রেলস্টেশন এলাকায় সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের স্লিপারের রিং স্পাইক (ক্লিপ) খুলে নেওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করেছেন আনসার সদস্যরা। এ সময় তারা খুলে নেওয়া ১২টি ক্লিপ রেখে পালিয়ে যায়।
এর আগে শনিবার ফেনীর ২৮ কিলোমিটার রেললাইনে ১৩০ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়।
ফেনী জেলা আনসার সূত্রে জানা যায়, দুর্বৃত্তরা ফাজিলপুর রেল স্টেশন এলাকায় রেললাইনের স্লিপারের ক্লিপ খুলে ফেলার সময় টহলে থাকা কয়েকজন আনসার সদস্যের নজরে পড়ে। তারা ধাওয়া করলে ১২টি ক্লিপ ফেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
ফেনী জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট জানে আলম সুফিয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখানে টহল সদস্য বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছি।
ফেনী ফাজিলপুর রেলস্টেশন মাস্টার মেহেদী হাসান জানান, খবর পেয়ে রেলের লোকজন গিয়ে মেরামত করেছে। শিডিউলের ট্রেন চলাচলে অসুবিধা হয়নি। তবুও বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নিরাপত্তার দায়িত্বে আনসার সদস্যদের পাশাপাশি ফেনীর রেলপথ সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া রেল পুলিশের কয়েকটি টিম ফেনীর ২৮ কিলোমিটার রেলপথ ও রেল স্টেশনে সর্তক পাহারায় রয়েছে। এর মধ্যে ফেনী স্টেশন, শর্শদী, ধুমঘাট, ফাজিলপুর, কালিদহসহ রেললাইনের চারটি, ছাগলনাইয়া উপজেলায় ১১টি, ফেনীর অংশে স্থানে স্থানে ব্যাটেলিয়ান ও আনসার ভিডিপির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
ফেনী রেলস্টেশন মাস্টার মো. হারুন জানান, ঘটনাটি জিআরপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ২৯ অক্টোবর থেকে দফায় দফায় হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রেললাইনে নাশকতা ও ট্রেনে আগুনে দেওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনে অগ্নিসংযোগে মা-শিশুসহ ৪ জনের প্রাণহানির ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চায় জাতিসংঘ