বগুড়ায় বিলিয়ার্ড খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে জুনায়েদ আল হাবিব বিপুল (২১) হত্যা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার ও হত্যায় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম।
তিনি জানান, রাতভর বগুড়া সদর ও শিবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার যুবকেরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে গৃহবধু ধর্ষণ মামলার ২ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার যুবকেরা হলো- শহরের নামাজগড় ভূষিপট্টির বাসিন্দা ও বিলিয়ার্ড ক্লাবের মালিক মো. আরিফ হাসান (৩২), শিববাটি শাহী মসজিদ এলাকার দীপংকর রায় (১৯) ও মো. সাহিল (২০), দক্ষিণ কাটনার পাড়ার মো. শাকি আল মামুন (২৭) ও ফুলবাড়ি দক্ষিণ পাড়ার মো. শোহাইব নবী (২২)।
নিহত যুবকের নাম জুনায়েদ আল হাবিব বিপুল। শুক্রবার রাতে বিলিয়ার্ড খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
বিপুল শহরের বাদুরতলা এলাকার মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং ছাপাখানার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে নিহতের ভাই মোহাম্মদ শামিম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে গ্রেপ্তার পাঁচজনসহ মোট আট জনকে আসামি করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে নামাজগড় এলাকায় ব্রেক এন রান নামে বিলিয়ার্ড ক্লাবে গ্রেপ্তার যুবকেরা পুল খেলছিলেন। এ সময় তাদের সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন ছিল। খেলার সময় বিপুল এবং তার কিছু বন্ধুরা সেখানে এসে গ্রেপ্তারদের পুলের বোর্ড ছেড়ে দিতে বলে। তারা ছেড়ে না দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গ্রেপ্তার যুবকেরা জুনায়েদ আল-হাবিব বিপুলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
নিহতের ভাই শামিম জানান, ওই পুলে বিপুল আগে থেকেই খেলছিলেন। কিছু সময়ের জন্য নিচে গেলে হত্যাকারীরা পুলটি দখল নিয়ে খেলা শুরু করেন। এ জন্য তাদের ছেড়ে দিতে বললে বাকবিতণ্ডা বাঁধে। এক পর্যায়ে তারা বিপুলকে মারধর করে। পরে ছুরিকাহত করে মেরে ফেলেন তারা।
আরও পড়ুন: মহাখালীতে সাবেক কাউন্সিলরসহ বিএনপির ৩২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার