দ্বন্দ্ব
জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছোট ভাইয়ের কোদালের আঘাতে বড় ভাই মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় আহত হয়েছেন অপর ভাই শাহীন মিয়া।
শনিবার (৮ জুন) ভোরের দিকে বগুড়ার টিএমএসএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সামছুল হুদা।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট: রবিবার প্রতিক্রিয়া জানাবে বিএনপি
নিহত সামছুল হুদা তালুককানুপুর গ্রামের হাবিজার রহমানের ছেলে।
ঘটনায় অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলাম শ্যামল পলাতক থাকলেও তার স্ত্রী গোলাপী বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর গ্রামে ছোট ভাই আনোয়ারুল ইসলামের কোদালের আঘাতে গুরুতর আহত হন তার দুই ভাই সামছুল হুদা ও শাহীন মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে জমি নিয়ে বড় ভাই সামছুল হুদার সঙ্গে ছোট ভাই আনোয়ারুল ইসলামের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সামছুল ও শাহীনের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আনোয়ারুল তার হাতে থাকা একটি কোদাল দিয়ে সামছুলের মাথায় ও শাহীনের শরীরে আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় সামছুলকে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও শাহীনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরের দিকে মারা যান সামছুল হুদা।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত করে স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে গেছে। ঘটনার দিনেই নিহত সামছুল হুদার স্ত্রী লাবনী বেগম বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলার প্রধান আসামি আনোয়ারুল ইসলাম পলাতক থাকলেও তার স্ত্রী গোলাপি বেগমকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
৬ মাস আগে
জমিতে পানি দেওয়ার দ্বন্দ্বে ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ
বগুড়া সদরে ফসলের জমিতে পানি সেচ দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে আব্দুল করিম নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার নামুজা ইউনিয়নের বগারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত করিম ওই গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞে চুপ থেকে বিএনপি-জামায়াত গণহত্যার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বগুড়া সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নূর জাহিদ জানান, ফসলের জমিতে পানি সেচ দেওয়া নিয়ে বগারপাড়া গ্রামের আলাল মিঞার সঙ্গে করিমের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। করিম সকালে শ্যালক খায়রুলকে নিয়ে নতুন ফসলি জমিতে পানি সরবরাহ করতে গেলে আলাল ও তার অজ্ঞাত দুই সহযোগী তাদের বাধা দেন।
একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে করিম জমির মধ্যে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারান৷ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে করিমকে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে আলাল ও তার সহযোগীরা পলাতক৷
এসআই আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হাতাহাতির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের ধাক্কায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে করিম মারা গেছেন। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
আরও পড়ুন: উত্তর গাজায় সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের হত্যার নিন্দা জাতিসংঘ প্রধানের
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
৯ মাস আগে
সুপারি পাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব: ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুনের অভিযোগ
বাগেরহাটে সুপারি পাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলার মোল্লাহাট উপজেলার জয়ডিহি দাঁড়িঘাটা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজা খুনের অভিযোগ
নিহত জামিল সরদার বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার জয়ডিহি দাঁড়িঘাটা গ্রামের সাহাব উদ্দিন সরদারের ছেলে।
আহত সবুজ সরদার ও দেলোয়ার সরদারকে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম জানান, একই বংশের লোকজনের মধ্যে সুপারি পাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে মঙ্গলবার সকালে ইসরাইল সরদারের ছেলে রইস সরদার ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগম সেখানে এসে জামিল সরদারকে ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
ওসি আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা খুন
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, গ্রেপ্তার ২
১০ মাস আগে
৩ কেজি চাল নিয়ে দ্বন্দ্ব, ভগ্নিপতি হাতে শ্যালক খুন!
কক্সবাজারের টেকনাফে তিন কেজি পাওনা চাল নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ভগ্নিপতির ছুরিকাঘাতে শ্যালক নিহতের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় টেকনাফ সাবারাং প্যান্ডেল পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পর ভগ্নিপতি পালিয়ে যায়।
নিহত শাহ আলম শ্রমিক।
আরও পড়ুন: ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী জানান, ভগ্নিপতি জাফর আলমের কাছ থেকে ধার নেওয়া তিন কেজি চাল নিয়ে বিবাদে জড়ায় শাহ আলম।
ওসি আরও জানান, এক পর্যায়ে শাহ আলমকে ছুরিকাঘাত করেন জাফর। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কক্সবাজার যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। জাফর আলমকে আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: কম দামে মাংস বিক্রির জেরে কসাইকে খুনের অভিযোগ
আপন ভাতিজার হাতে খুন হন বিউটিশিয়ান রিক্তা
১০ মাস আগে
এ অঞ্চলে যেকোনো দ্বন্দ্ব-যুদ্ধ বাংলাদেশকে উন্নয়ন লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারে: পররাষ্ট্র সচিব
বিশ্বের যেকোনো ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, এ অঞ্চলে যেকোনো ধরনের সংঘাত বা যুদ্ধ বাংলাদেশকে তার উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন থেকে বিচ্যুত করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না, সেটা সত্যিকারের যুদ্ধ হোক বা প্রক্সি যুদ্ধ হোক। আমরা যুদ্ধের বিরুদ্ধে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কাউকে তার ভূমি অন্যের স্বার্থে ব্যবহার করতে বা প্রতিবেশীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেবে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব এসব কথা বলেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সাধারণ মানুষ, নারী ও শিশুরা সংঘাতের শিকার হওয়ায় বাংলাদেশ সবসময়ই যেকোনো ধরনের যুদ্ধের বিপক্ষে।
ভারত ও মিয়ানমারকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ফোকাস আরও উন্নয়নের দিকে রয়েছে। তাই কোনো ধরনের সংঘাত, প্রক্সি বা অন্যথা হলে বাংলাদেশ তার লক্ষ্য অর্জন থেকে বিচ্যুত হবে।
মাসুদ মোমেন বলেন, ‘এ কারণে আমরা সবসময় সর্বোচ্চ সংযম ব্যবহার করি।’
আরও পড়ুন: ‘বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রদূত হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ: মার্কিন দূতাবাস
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে যখন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হয়েছিল তখন উস্কানিমূলক ঘটনা ঘটেছে।
বৃহৎ শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ও যোগাযোগ রক্ষা করে এবং এই ভারসাম্যমূলক কাজটি করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী করছি না, আমরা সময়মত সাড়া দিচ্ছি এবং উদ্বেগের উত্তর দিচ্ছি যদি থাকে। অনেকেই বলছেন আমাদের কাছ থেকে শিখতে চান। তারা খুশি যে বাংলাদেশ কীভাবে এই সমস্ত প্রতিযোগিতামূলক চাহিদা ও স্বার্থ মোকাবিলা করছে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে মাসুদ মোমেন বলেন, সরকার আশা করছে একটি ভালো নির্বাচন হবে। ‘এই মুহূর্তে আমরা মনে করি না নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না।’
উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ নির্বাচনে ভোট দেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স: 'মুক্ত, নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চলের' সুপারিশ মাসুদ মোমেনের
মাসুদ মোমেন বলেন, তারা কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহায়তা করতে পারেন সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটাই আমাদের ফোকাস। কোনো সমস্যা হলে আমরা তা মোকাবিলা করব।’
তিনি আরও বলেন, বিদেশি বন্ধুরা যেভাবে চায় তারা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়। ‘আমরা একটি শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে চাই। বাংলাদেশ সবসময় শান্তির পক্ষে।’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ কোনো বিদেশিকে সন্তুষ্ট করার জন্য নির্বাচন করছে না, বরং সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, সরকারের ধারাবাহিকতা ও জনগণ ভোট দিতে চাইলে ভোট দেবে।
তিনি বলেন, একটি বিশেষ দেশ কী ভাবছে বা কোনো বিশেষ দেশ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে কি না তা অপ্রাসঙ্গিক।
এর আগে বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তারা এই অঞ্চলে কোনো প্রক্সি যুদ্ধ দেখতে চান না এবং বৃহত্তর উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো আমরা এখানে কোনো প্রক্সি যুদ্ধ দেখতে চাই না। সম্পদ থাকা সত্ত্বেও আমরা যেখানে প্রক্সি যুদ্ধ দেখি সেখানে সমস্যা থেকে যায়। ইউরোপ প্রক্সি যুদ্ধে পতিত হয়েছে এবং চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।’
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোকে দুর্বল করার চেষ্টা হতে পারে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এ অঞ্চলে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েছে এবং অন্যান্য দেশও তা স্বীকার করে। ‘এটি আমাদের জন্য ভালো।’
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ক্ষমতায়নের আহ্বান মাসুদ বিন মোমেনের
১১ মাস আগে
৫০০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মারামারিতে নিহত ১
৫০০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে কুমিল্লার চান্দিনায় মারামারিতে একজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৭ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর নতুন বাংলা বাজারে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মো. হোসেন (৭৫)। তিমি চান্দিনা উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নের পশ্চিম কৈলাইন গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মো. হোসেন বাজারে দুটি রাজহাঁস বিক্রি করেন। এসময় স্থানীয় সবুর নামে এক ব্যক্তি হাঁস বিক্রির টাকা থেকে ৫০০ টাকা জোর দালালি হিসেবে রেখে দেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাইভেটকার পুকুরে পড়ে নিহত ২, আহত ৪
এই ঘটনার দুই-তিন দিন পর বিক্রেতা হোসেনের ছেলে বোরহান ওই সবুরকে বাজারে পেয়ে ৫০০ টাকা ফেরত দিতে বলে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর নতুন বাংলা বাজারের একটি মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল বোরহান। এসময় কৈলাইন গ্রামের আমান আলীর ছেলে ইদ্রিস মিয়া ও জামালের ছেলে মোক্তার হোসেন, লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে মনির হোসেন মিলে পুরোনো ঘটনার জের ধরে বোরহানকে মারধর শুরু করে।
উভয় পক্ষের আরও লোকজন এসে মারামারিতে জড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে মো. হোসেনও ঘটনাস্থলে আসে। এসময় মো. হোসেন মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
স্থানীয়রা মো. হোসেনকে পার্শ্ববর্তী কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. বোরহান ও মো. হানিফসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। অপরদিকে খবর পেয়ে সোমবার বিকেলে চান্দিনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
চান্দিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি দালালির ৫০০ টাকা নিয়েই ঝামেলা পাকিয়ে মারামারি হয়।
তিনি আরও বলেন, তবে নিহত মো. হোসেনের গায়ে কোনো আঘাতের দাগ নেই। আমরা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাচ্ছি।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তারা প্রাথমিক তদন্ত করছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গাছের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা, চালক নিহত
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৩
১ বছর আগে
বরিশালে কাঁচা মরিচ বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে নিহত ১
বরিশাল নগরীতে কাঁচা মরিচ বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে এক সবজি বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। শনিবার (২৯ জুলাই) সকালে নগরীর কাশিপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. কামাল হোসেন (৩৮) নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন সৈয়দপুর এলাকার এসকান্দার সর্দারের ছেলে।
আহতরা হলেন- কাশিপুর এলাকার তিনু মাঝির ছেলে মো. আলমগীর হোসেন, তার ভাই মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও অপর ভাই মো. জয়নাল আবেদীন এবং একই এলাকার প্রয়াত মো. ইয়াকুব আলীর ছেলে মো. আব্দুল মালেক।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে কলেজশিক্ষার্থী নিহত
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) মো. লোকমান হোসেন জানান, এ ঘটনায় ছুরিকাঘাতকারী মরিচ বিক্রেতা, সাবেক সেনা সদস্য মো. সোহেল রানাকে আটক করেছে পুলিশ।
তিনি নগরীর কাশিপুর ইছাকাঠি এলাকার সোনাবুদ্দিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শহিদ জানান, কাশিপুর বাজারে দোকানিরা ৩০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিলেন। এ সময় সোহেল রানা ভ্যান নিয়ে সেখানে গিয়ে মাইকিং করে ১২০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি শুরু করেন। তখন কামালসহ কয়েকজন দোকানি সোহেল রানাকে এ দামে মরিচ বিক্রি করতে নিষেধ করেন। কিন্তু রানা ১২০ টাকা কেজি দরেই তার মরিচ বিক্রি চালিয়ে যান। এতে কামালসহ বাজারের কয়েকজন কাঁচা মরিচ বিক্রেতা রানাকে মারধর করেন।
এক পর্যায়ে সোহেল রানা তার কাছে থাকা সবজির বস্তা কাটার ছুরি নিয়ে হামলাকারীদের উপর চড়াও হন। এতে চারজন জখম হন। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক কামালকে মৃত ঘোষণা করেন।
নগরীর এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে খুন, স্বামী গ্রেপ্তার
যাত্রাবাড়ীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
১ বছর আগে
লালমনিরহাটে মদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে এক বন্ধু তার অন্য বন্ধুকে হত্যা করে তিস্তা নদীর বালু চরে লাশ পুতে রাখে।
শুক্রবার বিকালে ওই উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকায় তিস্তা নদীর চরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আইউব আলী (২৬) নামে এক ব্যক্তি তার বন্ধু রফিকুল ইসলামকে (২২) হত্যা করে। এদের দুই জনের বাড়ি দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলায়।
খবর পেয়ে পুলিশ রফিকুলের লাশ উদ্ধারসহ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আইউব আলীকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন হত্যার ২০ বছর পর খুনি গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকায় শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে আসেন দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার চকদফর গ্রামের ইনসান আলীর ছেলে আইউব আলী (২৬)।
শুক্রবার দুপুরে বন্ধুর শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন একই উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের চিলকুড়া গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২২)।
দুই বন্ধু বিকালে তিস্তা নদীর চরে ভারতীয় সীমান্তে গিয়ে ভারতীয় মদ পান করেন। মদ খাওয়া নিয়ে দুই বন্ধুর মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। একপর্যায়ে আইউব আলী রশি দিয়ে তার বন্ধু রফিকুল ইসলামের গলা পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশ বালুতে পুতে রাখে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় লাশ উদ্ধারসহ এ ঘটনায় আইউব আলী নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের শিকার রফিকুল ইসলামের বড় ভাই আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জোড়া খুন: স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৮
চট্টগ্রামের প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ২ যুবক খুন
১ বছর আগে
খুলনায় চিকিৎসক-পুলিশ দ্বন্দ্বের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
খুলনায় চিকিৎসক ও পুলিশ সদস্যের মধ্যে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ২৮ মার্চ মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উদ্যোগে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। শনিবার খুলনা সার্কিট হাউসে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য শুনবে তারা।
ওই ঘটনায় দায়ের মামলার বাদী-বিবাদীদের ডেকে পাঠিয়ে চিঠি দেওয়ায় বৃহস্পতিবার বিষয়টি প্রকাশ পায়।
আরও পড়ুন: খুলনায় আ.লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
চার সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব মীর আবুল ফজল, সদস্য সচিব খুলনার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইউসুপ আলী।
সদস্যরা হলেন- পুলিশের একজন অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ও চিকিৎসক নেতা অধ্যাপক শহিদুল হক।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর ‘হক নার্সিং হোম’ নামের একটি ক্লিনিকে ডা. নিশাত আবদুল্লাহকে মারধর করেন পুলিশের এএসআই নাঈমুজ্জামান। ওই ঘটনায় নাঈমুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে টানা চার দিন কর্মবিরতি পালন করেন খুলনার চিকিৎসকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা। নাঈমুজ্জামান সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। চিকিৎসকদের দাবির মুখে তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
ডা. নিশাতকে মারধর ও হাসপাতাল ভাঙচুরের অভিযোগে ২৮ ফেব্রুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা হয়। এতে এএসআই নাঈমুজ্জামান ও তার স্ত্রী নুসরত আরা ময়নাকে আসামি করা হয়। অন্যদিকে সাত বছরের মেয়ের অঙ্গহানি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে নিশাত আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেন নুসরত আরা।
৯ মার্চ মামলা দুটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান চিকিৎসক নেতারা।
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ইউসুপ আলী জানান, দুই মামলার বাদী-বিবাদীসহ সংশ্লিষ্টদের শনিবার সকাল ১০টায় সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘পুলিশের ওপর হামলার’ ঘটনায় বিএনপির ৮০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
জনবল ও যন্ত্রপাতির সংকটে খুলনা বিভাগের ফায়ার সার্ভিস, ব্যাহত কার্যক্রম
১ বছর আগে
মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব: কুষ্টিয়ায় দুই রুটে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট
কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ বাস মালিক ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের দ্বন্দ্বের জেরে কুষ্টিয়ার সঙ্গে খুলনা ও ফরিদপুর রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় এ ধর্মঘট।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আপাতত দুটি রুটে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে দ্বন্দ্ব না মিটলে কুষ্টিয়ার সঙ্গে সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নৌ চলাচল বন্ধের পর এবার ভোলা-বরিশাল রুটে বাস ধর্মঘট
কুষ্টিয়া জেলা বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কয়েকদিন ধরেই ঝিনাইদহ শ্রমিক ইউনিয়নের ফরিদপুরে ট্রিপ নিয়ে ঝামেলা চলছিল। তারই জের ধরে গত ৫ এপ্রিল মধ্যরাতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ নামক স্থানে কুষ্টিয়ার গড়াই পরিবহনের স্টাফদের মারধর করেন ঝিনাইদহ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার ভোর হতে কুষ্টিয়া থেকে খুলনাগামী রূপসা পরিবহন এবং কুষ্টিয়া থেকে ফরিদপুরগামী সকল যাত্রীবাহী বাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
কুষ্টিয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন লাবলু জানান, ঝিনাইদহ শ্রমিক ইউনিয়নের ট্রিপ নিয়ে তাদের অন্যায্য দাবি আমরা না মানায় তারা আমাদের শ্রমিকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর ও বাস ভাঙচুর করে। তারই প্রতিবাদে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
এদিকে, দুটি রুটে অনির্দিষ্টকালের এই বাস ধর্মঘটের কারণে বিশেষ করে রোজার মধ্যে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধের কারণে অনেকেই বাস কাউন্টারে এসে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
এছাড়া সকালে শহরের মজমপুর বাস ডিপো এবং শহরতলীর চৌড়হাস এলাকার বাস টার্মিনালে এই দুই রুটে যাওয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেকে যাত্রীকে।
১ বছর আগে