স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমদের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী আজ।
১৯২৫ সালে এই দিনে গাজীপুরের কাপাসিয়ার দরদারিয়া গ্রামে এই মহান রাজনীতিবিদ জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৪৭ সাল থেকে সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন , একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সকল আন্দোলনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহচর্যে তাজউদ্দীন ১৯৬০-এর দশকের শেষভাগ এবং ১৯৭০ এর দশকের গোড়ার দিক পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছেন তাজউদ্দীন । যুদ্ধ শেষে একাত্তরের ২২ ডিসেম্বর তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন।
স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অবধি তাজউদ্দীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে ১৯৭৪ সাল অবধি তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভায় অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৩রা নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে জাতীয় ৪ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় চার নেতা ত্যাগের অনন্য নজির সৃষ্টি করে গেছেন: ডিএসসিসি মেয়র
মুক্তিযুদ্ধের সময় তাজউদ্দিন আহমেদ যে ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং যে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন তা এই জাতি সর্বদা স্মরণ করবে।
তাজউদ্দীন আহমদের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার রাত ৮ টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে একটি অনলাইন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে।
চলচ্চিত্র নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ‘জন্মদিনে তাজউদ্দীন আহমদ: নিসঙ্গ সারথি’ শিরোনাম একটি বক্তব্য প্রদান করবেন।