তৎকালীন কলকাতা দাঙ্গার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, শৈশব থেকে ছাত্রজীবন পর্যন্ত অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে যে বঙ্গবন্ধু একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব হিসেবে অনন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।
রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘জাতির পিতাকে নিয়ে আমি গর্বিত। তার উপস্থিতিতে ছয়বার থাকার সৌভাগ্য আমার হয়েছে- স্বাধীনতার আগে দুবার এবং স্বাধীনতার পর চারবার।
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয় ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে। বঙ্গবন্ধু আমাকে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) পাবনা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন।’
‘মুজিব ভাই’ অ্যানিমেশন মুভিকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের প্রয়াস হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মুভিটির পরিচালক, প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আইসিটি বিভাগ প্রযোজিত অ্যানিমেশন মুভি 'মুজিব ভাই' বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হবে বলে রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাভেদ তানভীর
অ্যানিমেশন হলো একটি মজার এবং শক্তিশালী মাধ্যম, যা কার্টুন, ফিল্ম ও গেমিং শিল্পে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
অ্যানিমেশনে বিষয়বস্তুর কল্পনাপ্রসূত চিত্র, বিশেষ ইফেক্ট, আলো, সঙ্গীত ও ভয়েস ওভার ব্যবহার করে গল্প বলা হয়।
এটি বিজ্ঞান, শিল্প, কৌতুক, সাহিত্য, সঙ্গীত এবং আরও অনেক কিছুর একটি সমন্বিত সৃষ্টি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মুজিব ভাই’ চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর জীবনযাত্রা, সংগ্রাম ও দেশবাসীর প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা ও মর্মস্পর্শী প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী অধ্যাপক ড. রেবেকা সুলতানা, রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও আইসিটি বিভাগের সচিব, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির দোয়ার আয়োজন
তথ্য-প্রযুক্তিসহ পেশাগত প্রশিক্ষণ দিয়ে বিচারকদের দক্ষ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি