তুরস্ক সরকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একশ’টি স্কলারশিপ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। রবিবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসুগ্লুর সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের বৈঠকে এ ব্যাপারে আশ্বাস পাওয়া গেছে।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি সফরে তুরস্কে অবস্থানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন এবং তাঁর স্ত্রীর সম্মানে রবিবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বাসভবনে নৈশভোজের আয়োজন করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন, আন্তরিকতাপূর্ণ আতিথেয়তা ও উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এসময় উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
ড. মোমেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য তুরস্ক সরকারের দেয়া স্কলারশিপের সংখ্যা বৃদ্ধি করে একশ’টি করার জন্য অনুরোধ জানালে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সম্মত হন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কে নতুন মাত্রা
ড. মোমেন তুর্কি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্কের নামে ঢাকায় পার্ক উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ সফরের জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালে তিনি সাদরে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। এছাড়া আগামী বছর তুরস্কের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের বিষয়েও উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে আলোচনা করেন।
বৈঠকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ড. মোমেনের ভূমিকারও প্রশংসা করেন। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির পদক্ষেপগুলো আরও এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করতে উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
ড. মোমেন এসময় বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের আকর্ষণীয় সুযোগের বিষয়গুলো তুলে ধরে বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহবান জানান। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে তাঁর দেশের বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এবিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান।
আরও পড়ুন: সুফিবাদের তীর্থস্থান হিসেবে তুরস্কের সাথে সিলেটের মিল রয়েছে: রাষ্ট্রদূত