মহামারি পরবর্তী প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এবং ভবিষ্যতের ধাক্কা মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য ঋণ হিসেবে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক।
আর্থিক সহনশীলতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এ অর্থায়ন অনুমোদন করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এই সহায়তা দক্ষতা উন্নয়ন, গ্রিননহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি এবং জ্বালানি খাতের নীতিগুলো সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণকে সমর্থন করবে। এই পদক্ষেপগুলো বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনসহ ভবিষ্যতের প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে সহনশীলতা তৈরি করতেও সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বেশ কয়েকটি প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেছেন, বিশ্বব্যাংক জরুরি প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০২০ সাল থেকে টিকাদান ও করোনা পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে বাংলাদেশকে তিন বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে।
এই সহায়তা সবুজ, স্থিতিস্থাপক, অন্তর্ভুক্তিমূলক পুনরুদ্ধার এবং কম কার্বন নিঃসরণ করতে দেশটির নীতি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এই প্রোগ্রামটি জাতীয় কর নীতির উন্নয়নে সহায়তা করে, যা বাণিজ্য কর আধুনিকীকরণেও সহায়তা করবে। নতুন নীতিগুলো অনাবাসিক ডিজিটাল পরিষেবা সংস্থাসহ বিদেশি সংস্থা, সোশাল মিডিয়া এবং ক্লাউড পরিষেবা সংস্থাগুলোকে ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে এবং অর্থ প্রদানে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
বিশ্বব্যাংকের মতে, পেমেন্ট ও সেটেলমেন্ট সিস্টেমের স্থিতিশীলতা ও দক্ষতা জোরদার করার জন্য নতুন আইন প্রস্তুত করা হবে, যা ডিজিটাল এবং মোবাইল আর্থিক পরিষেবাগুলোকেও উৎসাহিত করবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের প্রধান বার্নার্ড হ্যাভেন বলেছেন, এই অর্থায়ন বাংলাদেশকে সবুজ ও স্থিতিস্থাপক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়তা করবে।
ঋণটি বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরের মেয়াদে প্রদান করা হবে।