জ্ঞানের অংশীদারিত্বের ওপর ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক সম্প্রসারণে ‘বিশাল সম্ভাবনা’ দেখছে সুইজারল্যান্ড।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যত সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ভাগ করে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ন্যাথালি চুয়ার্ড বলেছেন, ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ হলো একটি ডোমেইন যা ধীরে ধীরে বাছাই করা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে এই ক্ষেত্রে আরও বেশি ফোকাস করতে চাই।’
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ছাড়াও সুইস রাষ্ট্রদূত আরও দুটি উপাদান উল্লেখ করেছেন-উন্নয়ন ও স্থায়িত্ব, বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ ও বহু পাক্ষিকতাবাদ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়ালগের প্রিমিয়ার বুধবার
কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত ভার্চুয়াল সংলাপে মূল বক্তব্যে সুইস রাষ্ট্রদূত দুই দেশ কীভাবে একটি উন্নত ভবিষ্যত এবং উদ্ভাবনের দিকে একসাথে অংশীদারিত্ব চালিয়ে যেতে পারে সেই বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
‘বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড সম্পর্ক: ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস’ শীর্ষক এই সংলাপের আয়োজন করে কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা কসমস ফাউন্ডেশন।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) কসমস ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে ভার্চুয়াল এই সংলাপের প্রিমিয়ার হবে।
সংলাপে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান।
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কূটনীতিক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
আলোচক প্যানেলে ছিলেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আনিস এ খান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দিল্লির সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে নাহার খান বলেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
তিনি বলেন, গত পাঁচ দশকে অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, মানবিক সহায়তা, সেইসাথে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বিনিময়সহ দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃহত্তর ও গভীরতর হয়েছে।
খান বলেন, সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের (এসডিসি) মাধ্যমে সুইজারল্যান্ড দেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়ন প্রচেষ্টায় অবদান রাখছে।
নতুন সহযোগিতা কর্মসূচীটি জাতিসংঘের এজেন্ডা ২০৩০ এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সাথে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের টেকসই এলডিসি উত্তরণ,সমৃদ্ধ, ন্যায্য ও স্থিতিস্থাপক সমাজকে উন্নীত করা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে অবদান রাখার সামগ্রিক লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।