প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংসদে উপনেতার পদ আবারও একজন নারী পূরণ করবেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন প্রায় পূরণ করেছি; কারণ আমরা সংসদে চারজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি- স্পিকার, সংসদ নেতা, বিরোধীদলীয় নেতা ও সংসদ উপনেতা নারী। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী কিছুদিন আগে ইন্তেকাল করেছেন। আমরা আবার আরেকজন নারী শূন্যপদ পূরণ করব।’
শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস-২০২২ উদযাপন এবং বেগম রোকেয়া পদক-২০২২ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা সমাজ, নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য পাঁচ নারীর হাতে সম্মানজনক পদক তুলে দেন।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪২তম জন্ম ও ৯০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ৫ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
নারী শিক্ষায় অবদানের জন্য এ বছর বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত পাঁচজন বিশিষ্ট নারী হলেন-ফরিদপুরের রহিমা খাতুন; নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য চট্টগ্রাম থেকে অধ্যাপক কামরুন নাহার বেগম (অ্যাডভোকেট); নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য খুলনা থেকে ফরিদা ইয়াসমিন; নড়াইলের ড. আফরোজা পারভীন সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারীর আলোকিতকরণে অবদানের জন্য এবং গ্রামীণ উন্নয়নে অবদানের জন্য ঝিনাইদহের নাসিমা বেগম।
প্রাপকদের পক্ষে ড.আফরোজা পারভীন এই অনুষ্ঠানে তার অনুভূতি শেয়ার করেন।
প্রত্যেক প্রাপক একটি স্বর্ণপদক, চার লাখ টাকার চেক ও প্রশংসাপত্র পান।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেগম রোকেয়া স্বপ্ন দেখেছিলেন একদিন নারীরা বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট হবে, বিভিন্ন দায়িত্ব নেবে এবং সর্বত্র উপস্থিত থাকবে। ‘তিনি যা চেয়েছিলেন, আমরা এখন তা ধীরে ধীরে অর্জন করার পথে আছি।’
প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ ও ২০০৯ সালে তার সরকার গঠনের পর উচ্চ আদালত, সশস্ত্র বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, সচিব, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি)ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পদসহ বিভিন্ন সেক্টর ও পদে নারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য তার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আজ সর্বত্র নারীর উপস্থিতি।
শেখ হাসিনা বলেন, বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন আমরা অনেকাংশে বাস্তবায়ন করেছি। আজ যদি তিনি (বেগম রোকেয়া) বেঁচে থাকতেন, তবে তিনি খুশি হতেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তার (রোকেয়ার) নামে একটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে এবং তার জন্মস্থানে নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছে।