প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংরক্ষিত আসনের জন্য জাতীয় সংসদে প্রত্যাশী ১ হাজার ৫৫০ জনেরও বেশি নারীর প্রবেশ প্রমাণ করে বাংলাদেশে নারী জাগরণ ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন দেখি মাত্র ৪৮টি সংরক্ষিত আসনের জন্য ১ হাজার ৫৫৩ জন নারী আশাবাদী, তখন আমরা এই উপসংহারে আসতে পারি যে বাংলাদেশে নারীর জাগরণ ঘটেছে।’
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নারীদের সঙ্গে এক সভায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নারীরা এখন প্রতিটি সেক্টরে সফলভাবে কাজ করছে এবং তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান রুগ্ণ শিল্পের মালিকরা
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যেখানেই নারীদের পাঠাই, তারা সবাই সফলভাবে কাজ করে… আমাদের নারীরা তাদের যোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছে।’
খেলাধুলাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে নারীদের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘নারীদের জন্য নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কোনো যুক্তি নেই।’
তিনি বলেন, এটা অযৌক্তিক যে নারীরা খেলাধুলা, ব্যবসা ও চাকরিতে যোগ দিতে পারবে না। কারণ একজন নারী (খাদিজা) প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিবি খাদিজা একজন ব্যবসায়ী ছিলেন এবং তিনি ইসলাম প্রচার ও প্রসারের জন্য হযরত মুহাম্মদকে (সা.) তার সমস্ত অর্থ ও সম্পদ দিয়ে সহায়তা করেছিলেন।
ইসলাম নারীকে এমনকি হিজড়া সম্প্রদায়কেও যথেষ্ট অধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নারীদেরকে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে আমরা খুবই সচেতন। আজ গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো নারীই পিছিয়ে নেই।’
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও বেশি সংখ্যক নারী সরাসরি ভোটের মাধ্যমে এগিয়ে আসবে।
জাতীয় সংসদে ৩৫০টি আসন রয়েছে, যার মধ্যে ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী