বাংলাদেশের উন্নয়নে ‘অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র’ এবং ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের’ গুরুত্ব তুলে ধরেছেন ঢাকায় স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা।
তারা টেকসই উন্নয়ন, লিঙ্গ সমতা এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ওপরও জোর দিয়েছেন।
বুধবার ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার-ভেনসেন এবং সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স বার্গ ভন লিন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
‘নর্ডিক দিবস’ এবং বাংলাদেশের সাথে স্ক্যান্ডিনেভিয় দেশ তিনটির কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূতরা প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের সাথে সাক্ষাত করেন।
পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত
১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয় স্ক্যান্ডিনেভিয় দেশগুলো।
বৈঠকে দেশগুলোর মধ্যে দীর্ঘ ইতিহাস এবং দৃঢ় বন্ধুত্বের পাশাপাশি এগিয়ে যাওয়ার অংশীদারিত্বের বিষয়ে আলোচনা হয়।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্ক্যান্ডিনেভিয় দেশ এবং বাংলাদেশ বহুপাক্ষিকতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।
আলোচনায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং নারীর ক্ষমতায়নের মতো শীর্ষ অগ্রাধিকার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।
একটি যৌথ মিডিয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে স্ক্যান্ডিনেভিয় রাষ্ট্রদূতরা তাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।’
পড়ুন: চলচ্চিত্রে গণমানুষের আত্মত্যাগ তুলে ধরার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর