তবে দুমাস আগে তিনি এ ধরণের সুযোগের কথা বললেও অনেকে এই সম্ভাবনার বিষয়ে বিদ্রূপ করেছিলেন বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ীরা খুবই দক্ষ। তারা খুব দ্রুত এটি করেছে (ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের প্রথম চালান রপ্তানি করে)’।
গত ২৩ মার্চ ড. মোমেন গণমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে চায় এমন ২২টি পণ্যের একটি তালিকা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে অনেকেই এ বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে এবং এটি অসম্ভব উল্লেখ করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করেছিলেন।
কেউ কেউ বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশ কখনোই বাংলাদেশকে চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করতে বলতে পারে না, যদিও তারা জানেন যে বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৬ বিলিয়্ন ডলারের পোশাক সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্রে।
প্রাথমিকভাবে ২২টি পণ্যের তালিকা পাঠালেও পরে এতে আরও তিনটি সরঞ্জাম যুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ বিষয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এবং কূটনীতিকদের মধ্যে আলোচনার পর বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো তালিকা থেকে ১৪টি সরঞ্জাম রপ্তানি করতে সক্ষম বাংলাদেশ।
এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম বাংলাদেশ কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, অন্যান্য দেশেও সরবরাহ করছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘এগুলো আমরা কয়েকটি দেশে রপ্তানি করার পাশাপাশি কিছু দেশে অনুদান হিসেবেও পাঠাচ্ছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে যখন করোনাভাইরাস চিহ্নিত হয় তখন বাংলাদেশি গার্মেন্টস মালিকরা এক সপ্তাহের মধ্যে ৫-৬ লাখ পিপিই তৈরি করেছিলেন বাংলাদেশে ব্যবহারের জন্য।