২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সাড়ে ৭ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে ৫০ দশমিক ০৬ লাখ কোটি মূল্যের আনুমানিক গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ যা এখন ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ।
বৈশ্বিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তা এবং অভ্যন্তরীণ অন্যান্য বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির অনুমানকে উচ্চাভিলাষী হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অর্থনৈতিক চাপ সত্ত্বেও কেন এবার উচ্চ প্রবৃদ্ধি আশা করছেন সে বিষয়ে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ এবং উৎপাদনশীলতা ও অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে উদ্দীপিত করার মাধ্যমে আমরা উচ্চ প্রবৃদ্ধির গতিপথে ফিরে আসার এবং সাড়ে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের আশা করছি।’
আরও পড়ুন: সমস্ত নগদ-ভিত্তিক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ইএফটি’র আওতায় আসবে: অর্থমন্ত্রী
কামাল ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ এবং জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চলমান মেগা-প্রকল্পগুলো সম্পূর্ণ করার দিকে মনোনিবেশ করেন।
অর্থবছরে বাংলাদেশ রেকর্ড ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এরপর এলো মহামারি। অর্থমন্ত্রী ২০২০ অর্থবছরে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলেন, কিন্তু প্রকৃত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল তিন দশমকি ৪৫ শতাংশ, যা কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন।
মহামারি প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধার করার পর ২০২১ অর্থবছরে বৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০২২ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরও বেড়ে ৭ দশকি এক শতাংশ হয়েছে।