নেপালের কাকরভিটা স্থলবন্দর থেকে কীভাবে সরাসরি বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে যুক্ত হওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী দামোদার ভান্ডারি।
শনিবার নেপালের স্থানীয় এক হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া তারা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেও স্থলপথে বাংলাবান্ধা ও কাকরভিটার মধ্যে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: নেপাল-ভুটানের সঙ্গে সংযোগ সহজ করবে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর: স্পিকার
প্রতিমন্ত্রী শনিবার সকালে নেপালের 'কাকরভিটা স্থলবন্দর' পরিদর্শন করেন। কাকরভিটা থেকে ভদ্রাপুর বিমানবন্দর দিয়ে কাঠমান্ডুতে পৌঁছেন। কাকরভিটা স্থলবন্দর বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে ৩৭ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এই ৩৭ কিলোমিটার ভূখণ্ড ভারতের অংশ। ভারতের ৩৭ কিলোমিটার ভূমি সরাসরি ব্যবহার করে কীভাবে নেপাল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই রুটটি সরাসরি ব্যবহারে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল একসঙ্গে কাজ করবে।
এসময় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাউদ্দিন রোমান চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালনা বোর্ডের খণ্ডকালীন সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম হাসান আলী উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল পঞ্চগড় জেলার 'বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর' দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ী স্থলবন্দর হয়ে ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্ত পরিদর্শনে যান।
ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্তে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ফুন্টসিলিংএর গভর্নর কারমি জারমি। ফুন্টসিলিং সীমান্ত থেকে তারা 'পাসাখা স্থলবন্দর' পরিদর্শনে যান। তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাবান্ধা থেকে ভুটানের ফুন্টসিলিঙ সীমান্ত এলাকার দূরত্ব ১৪২ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: নেপাল-বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী: বাকৃবিতে নেপাল রাষ্ট্রদূত