বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) দেওয়া শর্তাবলী বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস কার্যালয়ে বিবিএসের সঙ্গে এক বৈঠকে আইএমএফ দল এ সন্তোষ প্রকাশ করে।
বৈঠকে আইএমএফ গতানুগতিক পদ্ধতির পরিবর্তে মুদ্রাস্ফীতি (ভোক্তা মূল্য সূচক), জিডিপি (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) এবং ত্রৈমাসিক জিডিপি সম্পর্কিত হালনাগাদ তথ্য জানতে চায়।
বৈঠকে এসব বিষয়ে আইএমএফকে অবহিত করেছে বিবিএস।
সূত্র জানায়, আইএমএফ প্রতিনিধিদল স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিক তথ্যও চেয়েছে।
বিবিএসের মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান ইউএনবিকে বলেন, আইএমএফ মুদ্রাস্ফীতির নতুন পদ্ধতিতে যাওয়ার অগ্রগতি জানতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে মুদ্রাস্ফীতি গণনা করি তা আর এভাবে করা হয় না, এটি পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রায় ৯৫ শতাংশ দেশ আইএমএফের মিশ্র পদ্ধতি ব্যবহার করে মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপ করে, বাংলাদেশ নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করবে।’
আরও পড়ুন: আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক: সমন্বিত এক্সচেঞ্জ রেট ও প্রতিযোগিতামূলক ঋণের হারকে অগ্রাধিকার
নতুন মূল্যস্ফীতিতে খাদ্যপণ্যের দাম হবে ১৫৩টির পরিবর্তে ২৬৩টি। পণ্য ৭২০টি। তারা (আইএমএফ দল) বিষয়টির অগ্রগতি জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানান বিবিএস মহাপরিচালক ।
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই তাদের জিডিপি পরিসংখ্যান ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বছরে একবার করে। নিম্নমুখী হলে প্রকৃত জিডিপি প্রকাশ করতে দেড় থেকে দুই বছর সময় নেওয়ার উদাহরণও রয়েছে দেশে। আবার বিবিএসের যে কাজগুলো করার কথা তা অনেক সময় অর্থ মন্ত্রণালয় করে থাকে।
ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রসঙ্গে মতিয়ার বলেন, সরকার বছরে চারবার জিডিপির তথ্য প্রকাশ করবে। তবে এটি ২০২৪ ক্যালেন্ডার বছর থেকে শুরু হবে। তথ্য-উপাত্তের কাজ এগিয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কিছুটা স্বস্তির জন্য আইএমএফের ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ: আইএমএফের এমডিকে প্রধানমন্ত্রী