জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে, সম্প্রতি জেনেভায় বৈশ্বিক ইস্যুতে হাইকমিশনারের দেয়া প্রতিবেদনের শেষ বিবৃতির ভুল তথ্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে তারা বলেছে, এই বিবৃতিটি কোনো ‘বৈশ্বিক প্রতিবেদন’ ছিল না।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি ওই বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা ভুল তথ্যের জন্য দুঃখিত। এটি বৈশ্বিক প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য ছিল না।’
তিনি বলেন, যেহেতু হাইকমিশনার হিসেবে তিনি ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়গুলোতে অনেক কিছু জেনেছেন, তাই তিনি জেনেভায় তার ২৫ আগস্টের শেষের ম্যান্ডেটের বিবৃতিকে বৈশ্বিক সমস্যাগুলোতে (জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য, জ্বালানি, অর্থ সংকট, নাগরিক স্থান ইত্যাদির ওপর ফোকাস করতে বেছে নিয়েছেন।)
মুখপাত্র বলেন, কেননা এই বিষয়গুলো বাংলাদেশ সহ সব দেশকে প্রভাবিত করছে এবং সেদিনই ছিল রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার পঞ্চম বার্ষিকী।
রাভিনা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য, জ্বালানি, আর্থিক সংকট, নাগরিক স্থান ইত্যাদিসহ বৈশ্বিক ইস্যুতে হাইকমিশনারের বক্তব্য বাংলাদেশের রোহিঙ্গা বর্ষপূর্তিসহ সকল দেশকে প্রভাবিত করছে।
আরও পড়ুন: সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের
তিনি আরও বলেন, আপনারা অবশ্যই অবগত আছেন যে হাইকমিশনার ঢাকায় সরকার, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য সংলাপে তার বৈঠক এবং ঢাকায় তার মিশন শেষের বিবৃতিতে বিস্তৃত মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে তার উদ্বেগ ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছেন।
ঢাকায় দেয়া তার বিবৃতিতে হাইকমিশনার বলেন, ‘সমস্যাগুলো স্বীকার করে নেয়া সমাধানের প্রথম ধাপ।’ এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় হাইকমিশনারের সুপারিশ অনুসারে বাংলাদেশে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা এবং অন্যান্য সহায়তা করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক