প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এ প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ বৈঠকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘১৯৭০ এর দশকে দেশে প্রায় ৫০ হাজার শকুন ছিল, তবে এর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে এখন দেশে মাত্র ২৬০টি শকুন রয়েছে।’
তিনি জানান, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাব রেখেছিল কারণ কিটোপ্রোফেন ওষুধের সরবরাহ বন্ধ করা না গেলে দেশে শকুন বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
বিলুপ্তপ্রায় শকুন সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
কিটোপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ বন্ধ করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় মেলোক্সিক্যাম নামে একটি ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বিলুপ্তির হাত থেকে শকুন রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে বিষাক্ত ওষুধ ‘কিটোপ্রোফেন’ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন পরিবেশবিদরা।
এর আগে শকুনের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকারক ওষুধ ‘ডাইক্লোফেনাক’ নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ।
গাইবান্ধায় বিরল প্রজাতির ৫ শকুন উদ্ধার
মানুষের মধ্যে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করে, ভারসাম্যপূর্ণ বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শকুন।
দুর্ভাগ্যক্রমে, গত কয়েক দশকে দক্ষিণ এশিয়ার ৯৯.৯ শতাংশ শকুন অদৃশ্য হয়ে গেছে।