আগামীকাল বুধবার (২৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস। এই দিনে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির পক্ষ থেকে ভারতের সরকার ও জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির দপ্তর সম্পাদক এ ইউ এস এম সাইফুল্লাহ এর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রথমবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়। এই দিন ভারত শাসনের জন্য ১৯৩৫ সালের ঔপনিবেশিক ভারত সরকার আইনের পরিবর্তে ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হয়। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর স্বাধীন ভারতের সংবিধান গৃহীত হওয়ার পর ঠিক করা হয় ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রথম স্বাধীনতা পালনের দিনটিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে ভারতের সংবিধান কার্যকর হবে এবং সেদিন থেকে প্রজাতান্ত্রিক ভারতবর্ষ ‘Republic of India’ হিসেবে পরিচিত হবে। সেই থেকে ভারতবর্ষ ২৬ জানুয়ারিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ হিসেবে পালন করে আসেছ।
আরও পড়ুন: এবছরও ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে থাকছে না কোনো বিদেশি অতিথি
এতে আরও বলা হয়, ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রশিদুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক শ্রী নারায়ন সাহা মনি ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের সর্বস্তরের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছেন। তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ ও ভারত অকৃত্রিম বন্ধু। ১৯৭১ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভারতের সাহায্য ও সহযোগিতা তারই প্রমাণ।
সবশেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উভয় দেশ শান্তি, সম্প্রীতি ও অর্থনৈতিক উন্নতি অর্জিত হোক ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের নেতৃত্বে বাংলাদেশি কন্টিনজেন্ট