ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সিলিকন সিটি।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামে ‘পঞ্চম চট্টগ্রাম আইটি ফেয়ার ২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সময়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় যে সকল সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চান। বিনিয়োগের অর্ধেকই চট্টগ্রাম থেকে পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীরা ‘কর্মক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ও দায়িত্বশীল’: পলক
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইপিজেড, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, হাই টেক পার্কে যদি কোন ফ্রিল্যান্সার উদ্যোক্তা হতে পারে, তাহলে তারা অন্যদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে স্টার্ট আপ বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডেরে পক্ষ থেকে ৫ লাখ থেকে ৫ কোটি পর্যন্ত ইক্যুয়িটি ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ থাকবে। এর সবকিছুই নির্ভর করছে রাইট সিলেকশন, রাইট মনিটরিং, রাইট সুপারভিশন ও ইনকিউবেশনের উপর।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কোন মেধাবী, উদ্ভাবনী তরুণ-তরুণী যদি উদ্যোক্তা হতে চায়, তাদের যত ধরনের সুযোগ লাগবে সেটা সরকার, একাডেমিক ও ইন্ডাস্ট্রি একসঙ্গে মিলে তৈরি করবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের আইসিটি খাত থেকে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হচ্ছে এবং ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
এ খাতে আগামী পাঁচ বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় এবং আরও নতুন ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ১৭ বছর সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: পলক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে তিনটি উপহার দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথমত ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চুয়েটে ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ১০টি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ও ২৫টি স্টার্ট আপ কোম্পানিকে ফ্রি স্পেস প্রদান করা হয়েছে। দ্বিতীয় প্রকল্পটি হলো চান্দগাও- এ শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার (৮ আইটি প্রকল্প) এবং তৃতীয়টি চান্দগাও এ নলেজ পার্ক (১২ আইটি প্রকল্প)।
এই অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী পলক চান্দগাও এ শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এর ৫ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গা স্টার্ট-আপদের জন্য দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, যে সকল স্টার্ট-আপ জায়গা বরাদ্দ পাবে, তারা প্রথম ৬ মাস ফ্রিতে কাজ করার সুযোগ পাবে। পরে পারফরমেন্স মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে যাচাইপূর্বক আরও ৬ মাস ফ্রিতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত