দেশে ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ভোগ্যপণ্য নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকেও (পণ্য) আমদানি শুরু করেছি।’
শুক্রবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের পেশাজীবী সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যদিও (রাশিয়ার ওপর) নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলারের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধের সমস্যা রয়েছে, সরকার একটি বিকল্প (পরিশোধ) ব্যবস্থার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
শেখ হাসিনা বলেন, পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো পর্যাপ্ত রিজার্ভ এখনও বাংলাদেশের কাছে রয়েছে।
রিজার্ভ ইস্যুতে সরকারের সমালোচকদের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, এখন সবাই রিজার্ভ ও অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের সময় রিজার্ভ বেড়েছে প্রায় ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়, যা ২০০৯ সালে ছিল মাত্র পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিছু বেশি।
তিনি বলেন যে মহামারি মোকাবিলায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন, টেস্টিং কিট ও অন্যান্য সম্পর্কিত উপকরণ সংগ্রহ করতে রিজার্ভ থেকে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পর সরকারকে এখন উচ্চমূল্যে ভোজ্যতেল, গম ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্য আমদানি করতে হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (সরকার) ভোগ্যপণ্য নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছেন এবং জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই রিজার্ভ কমেছে।
তিনি আরও বলেন যে এখন একটি গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে ব্যাংকে টাকা নেই এবং গ্রাহকরা তাদের আমানত ফেরত পাবেন না।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই গুজবের কারণে অনেকেই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঘরে রেখে দিচ্ছেন। ঘরে টাকা রাখলে চোরের জন্য সুযোগ তৈরি হয়, তাই না?... এখন এটা মালিকদের ব্যাপার যে তারা এটা ব্যাংকে রাখবে নাকি চোরদের হাতে তুলে দেবে।’
আরও পড়ুন: ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়িতে রাখলে চোরেরা উৎসাহিত হবে: প্রধানমন্ত্রী
শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর অনুষ্ঠিত হবে: শাহরিয়ার আলম